ওয়েব ডেস্ক: চা শ্রমিকের মৃত্যুও হতে চলেছে নির্বাচনী ইস্যু। উত্তরবঙ্গের বাগানগুলির দুরবস্থা নিয়ে কলকাতায় সরব হবে বামেরা। সোমবার টিবোর্ডের সামনে দিনভর অবস্থান বিক্ষোভ।
মালবাজার মহকুমার গ্রিন অ্যাওয়ে প্রজেক্টের চা বাগান। কর্তৃপক্ষ বকেয়া না মেটানোয় বন্ধ বাগানের দখল নিল শ্রমিকরা।কিন্তু, উত্তরবঙ্গের বাকি চা বাগানগুলির পরিস্থিতি এমন নয়। সেখানেও বাগান বন্ধ। সেখানেও বঞ্চিত শ্রমিকরা। অনাহারে, অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছেন একের পর এক শ্রমিক। সবুজ চা বাগান এখন শ্মশানপুরি।
অনাহার ও অপুষ্টির কারণে গত একবছরে চা বাগানগুলিতে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে তিনশোর বেশি মানুষের। এরমধ্যে বাগরাকোট, নাগাইসুরি, কিলকোট ও গঙ্গারামে মারা গেছেন শতাধিক মানুষ।কোহিনুর, মধু, রাজ্য সরকার অধিকৃত রেডব্যাঙ্ক ও ধরনিপুর চা বাগানেও মৃত্যুমিছিল বেশ লম্বা। পানিঘাটা, গোয়ালগছ, সুরেন্দ্রনগর ও বীরপাড়ায় গত একবছরে মোট ষাটজনের মৃত্যু হয়েছে।ডিমডিমা, গ্যারগেন্ডা ও হান্টাপাড়ায় মারা গেছেন শতাধিক শ্রমিক।
যদিও অনাহারে মৃত্যুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। চা বাগানে মৃত্যু মিছিল ঠেকাতে গড়া হয়েছে একশো কোটির তহবিল। চা বাগানের শ্রমিক লাইনে সস্তায় রেশন দিচ্ছে রাজ্য। কিন্তু, পরিস্থিতি কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না। যার জেরে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। উত্তরবঙ্গে চরম অস্বস্তিতে শাসকদলের কর্মী ইউনিয়ন। এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চায় বামেরা।
চা বাগানের হাহাকার দক্ষিণবঙ্গ বাসীকেও শোনাতে চায় বামফ্রন্ট। সোমবার দুপুর বারোটা থেকে সন্ধে ছটা পর্যন্ত টি বোর্ডে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভের যৌথ আয়োজনে কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট, এগারোটি ট্রেড ইউনিয়ন, বারোই জুলাই কমিটি। অবস্থানে টি প্ল্যান্টেশন আইন পরিবর্তনের দাবি জানানো হবে। রাজ্যে সরকার অধিগৃহীত চা বাগানের দুরবস্থা নিয়েও সরব হবেন বিক্ষোভকারীরা। চা শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্য দিতে সতেরোই জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে অর্থ সংগ্রহ করা হবে।
বামেরা মনে করছে, ভোটের আগে সারদার মতোই চা বাগানও একটি জ্বলন্ত ইস্যু।