Home> রাজ্য
Advertisement

শ্যাম সেল কাণ্ডে জড়িত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা পুলিসের

শ্যাম সেল কাণ্ডে জড়িত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা পুলিসের

জামুড়িয়ার শ্যাম সেল কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল পুলিস। অভিযুক্ত অলোক দাস ও চঞ্চল ব্যানার্জিকে বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে থানায় হাজিরা দিতে হবে। সরকারের চাপেই শেষ পর্যন্ত অপেক্ষাকৃত লঘু ধারায় মামলা রুজু করতে বাধ্য হল পুলিস? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এবিষয়ে। সোমবার জামুড়িয়া থানায় গিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অলোক দাস এবং চঞ্চল ব্যানার্জির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এমনটাই জানান কারখানার এজিএম এইচ আর সুমিত চক্রবর্তী।  

এরপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮৫, ৪৪৭, ৫০৬ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিস। তোলা আদায়, জোর করে কারখানায় ঢোকা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে একটি ধারাও জামিন অযোগ্য নয়। শুধুমাত্র ৩৮৫ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বড়জোড় দু বছরের সাজা হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী সাত বছরের কম সাজা হয় এমন ধারায় মামলা রুজু হলে পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারবেনা। তাই পুলিস 41/A CRPC তে অভিযুক্ত চঞ্চল ব্যানার্জি এবং অলোক দাসকে নোটিস পাঠিয়েছে। বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের জামুড়িয়া থানার তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যেসব তথ্য পাওয়া যাবে সেগুলি আদালতে জমা দেবে পুলিস। এরপর আদালতের নির্দেশ মত মামলা চলবে।

শনিবারই জামুড়িয়ার ঘটনাটিকে ছোট্ট ঘটনা বলে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল থেকে অভিযুক্ত অলোক দাস এবং চঞ্চল ব্যানার্জিকে সাসপেন্ড করা হলেও পুলিস কেন ব্যবস্থা নিল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।  এরপর সোমবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারা দেয়।  তাহলে কী সরকারের চাপে পড়েই শ্যাম সেল কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ দায়ের করল যাতে পুলিস  জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করতে বাধ্য হল। এই প্রশ্ন কিন্তু উঠতে শুরু করেছে।

 

Read More