ব্যুরো:কর্ণ বেরাই গুলি করে খুন করেছে মহিষাদল থানার কনস্টেবল নবকুমার হাইতকে। হলদিয়া আদালতে দাবি করলেন শেখ সানি ওরফে ওমর সানির আইনজীবী। তাঁর দাবি, পুলিস শেখ সানিকে গ্রেফতার করেনি, সে আত্মসমর্পণ করেছে । আদালত সানির চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ধরে কর্ণ ধরের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
পুলিস খুনের ঘটনায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগর থেকে গ্রেফতার করা হয় ওমর সানি ওরফে শেখ সানিকে। অন্তত পুলিসের এমনটাই দাবি। কিন্তু আদালতে সেখ সানির আইনজীবী জানালেন, শেখ সানিকে পুলিস গ্রেফতারই করেনি। সানি নিজেই মহিষাদল থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। একই সঙ্গে আদালতে আইনজীবী দাবি করেন, যেদিন ঘটনা ঘটে সেই রাত্রে কর্ণ বেরা, শেখ সানি বাড়ি ফিরছিল। পথে পুলিস চেজ করলে গুলি চালায় কর্ণ ধর।
পুলিসি জেরায় শেখ সানি জানিয়েছে, কেরালায় কর্ণ বেরার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার। ঘটনার রাত্রে তারা একটি ধাবায় খাবার খেয়ে ফিরছিল, সেই সময় তারা পুলিসের মুখোমুখি হয় । পুলিস আদালতে সেখ সানির টিআই প্যারাডের আবেদন জানায়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে শনিবারই আটক করা হয় সেখ রফিককে। রবিবার শেখ রফিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিস। রফিকও পুলিসি জেরায় স্বীকার করেছে গুলি চালিয়েছে কর্ণ বেরা। পুলিস সূত্রের খবর, ঘটনার পরপরই কর্ণ বেরা পালিয়ে যায় ওড়িশায়। কর্ণ বেরার খোঁজে ওড়িশায় গেছে পুলিসের তদন্তকারী দল।