ওয়েব ডেস্ক: বেলুড়ের লালবাবা কলেজে তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে ঘিরে উত্তেজনা। বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কলেজের টিএমসিপি সমর্থক ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিধায়কের অনুগামী বহিরাগতরা কলেজে এসে মারধর করে ছাত্রছাত্রীদের।
আহত এক ছাত্রীকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। কলেজের TMCP সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, কলেজের গভর্নিং বডিতে এমন একজনকে রাখতে চান বিধায়ক, যাঁর বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। সেকারণেই বিধায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে বৈশালী ডালমিয়ার পাল্টা অভিযোগ, কলেজে অনলাইন ভর্তিতে অনিয়ম চলছে। তারই প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, সাবেক বাম আমলে বালি ছিল সিপিএমের দুর্ভেদ্য দুর্গ। ঠাস বুনোট সংগঠনেই বাজিমাত করত তখনকার শাসক শিবির। কিন্তু, ২০১১ সালে রাজ্যের সংখ্যা গরিষ্ঠ এলাকার মতোই বালির মানুষও পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়ে জেতান তৃণমূলের প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস সুলতান সিংহকে। কিন্তু, এইবার ২০১৬ সালের বিধানসভাতে আর টিকিট জোগাড় করতে পারেননি এই প্রাক্তন পুলিসকর্তা। তাঁর বদলে বালিতে টিকিট পান, 'মমতা ব্যানার্জীর স্নেহধন্যা' (এই পরিচয়ের কাটআউটেই ছয়লাপ বালির বিভিন্ন রাস্তা) শিল্পপতি বৈশালী ডালমিয়া। বিখ্যাত ব্যবসায়ী এবং ক্রিকেট প্রশাসক স্বর্গীয় জগমোহন ডালমিয়ার কন্যা বৈশালির আচরণ নিয়ে নির্বাচনের দিনই প্রশ্ন উঠে যায়। বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে ওইদিন তাঁকে রীতিমতো শাসানির সুরে তর্ক করতে দেখা যায় বালির প্রাক্তন বিধায়িকা কণিকা গাঙ্গুলির সঙ্গে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এই মূহুর্তে, তৃণমূল সুপ্রিমো যেভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সমঝে চলার বার্তা দিচ্ছেন, তাতে এই ঘটনার পরিণতি কী হয় সেটাই দেখার।