জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ। দেশের একের পর এক জেলা থেকে আসছে রাসেলস ভাইপারের কামড়ের খবর। উপমহাদেশের বিষাক্ত সাপগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হয় এই রাসেলস ভাইপারকে। একসময় বাংলাদেশে নিখোঁজ এই সাপকে দেখা যাচ্ছে ২২-২৭ জেলায়। এনিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন-গ্রেফতার হতে পারেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ!
একটি সমীক্ষা বলছে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মারা যান ৭ হাজার মানুষ। এনিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সাপকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সবার সতর্ক থাকা উচিত। পরিবেশে ভারসাম্য রাখার জন্যই জীবজন্তু। একটু সতর্ক হতেই হবে। জীবজন্তু বা সাপ যাই বলেন না কেন, এরা বিনা কারণে কোনও মানুষকে আক্রমাণ করে না, যদি না তারা ভয় পেয়ে যায় বা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে থাকে। তাছাড়া তারা কোনওদিন কারও ক্ষতি করে না।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, সাপ বরং মানুষকে ভয় পায়। ভয় বা আতঙ্ক থেকেই কামড় দিতে আসে। তাই সাপকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বরং মানুষকেই ভয় করতে হয়।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাসেলস ভাইপারের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত মানুষজন ধরা পেলেই মেরে ফেলছেন রাসলেস ভাইপারকে। আবার রাসেলস ভাইপারের আতঙ্কে অন্য সাপকেও মেরে ফেলা হচ্ছে। সাপ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি যখন মাছ ধরতে বসি, তখন দেখি পাশ দিয়েই সাপ যাচ্ছে। একদিন দেখি আমার বসার জায়গার পাশেই একটা সাপ মুখ বের করে আছে, এত বড় একটা সাপ। কই, কোনোদিন আমাকে সাপে কাটেনি তো। কোনোদিন ভয়ও পাইনি।”
ভারতের চারটি প্রধান বিষাক্ত সাপের মধ্যে গণনা করা হয় রাসেলস ভাইপারকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাসেলস ভাইপার, ক্রেইট, কোবরা এবং করাত-স্কেলড ভাইপারের কামড়ের ঘটনা ঘটে। একটি মাত্র কামড় দিয়ে, রাসেল ভাইপার একজন ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট বিষ তার দেহে ছেড়ে দিতে পারে। রাসেলের ভাইপার কামড়ালে মাড়ি এবং প্রস্রাব থেকে রক্তপাত হতে পারে। যদি অবিলম্বে চিকিৎসা না করা হয়, কামড়ের ১-১৪ দিন পরে সেপ্টিসেমিয়া বা রেনাল, শ্বাসযন্ত্র বা কার্ডিয়াক ফেলিয়র থেকে মৃত্যু হতে পারে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)