নিজস্ব প্রতিবেদনঃ পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশারফের পরিবারের তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে প্রাক্তন এই সামরিক শাসকের শারীরিক অবস্থা গুরুতর। তার বিভিন্ন অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে এবং তাঁর স্বাস্থ্যের পুনরুদ্ধার সম্ভব নয় বলে জ্ঞান হয়েছে পরিবারের তরফে।
তাঁর পরিবার, টুইটারে একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে মোশাররফ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে তিনি ভেন্টিলেটরে নেই। তার অসুস্থতার (অ্যামাইলয়েডোসিস) জটিলতার কারণে গত তিন সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। একটি কঠিন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাঁর স্বাস্থ্য যেখান থেকে আরোগ্যলাভ সম্ভব নয়।
Message from Family:
— Pervez Musharraf (@P_Musharraf) June 10, 2022
He is not on the ventilator. Has been hospitalized for the last 3 weeks due to a complication of his ailment (Amyloidosis). Going through a difficult stage where recovery is not possible and organs are malfunctioning. Pray for ease in his daily living. pic.twitter.com/xuFIdhFOnc
এর আগে, খবর ছড়িয়ে পড়ে যে মোশারফের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এর আগে, মোশারফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন তিনি গুরুতর অসুস্থ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে একটি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন। ৭৮ বছর বয়সী জেনারেল মোশারফ ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেছেন।
আরও পড়ুন: US Gun Violence: আমেরিকায় বন্দুকরাজের ইতিহাস! ফিরে দেখা গত ১০ বছরের হামলার ঘটনা
মোশারফের প্রতিষ্ঠিত অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এপিএমএল) ওভারসিজের সভাপতি ইফজাল সিদ্দিক বলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কিছুটা অসুস্থ। তিনই বলেন জেনারেল পারভেজ মোশারফ বাড়িতেই রয়েছে কিন্তু তিনি সামান্য অসুস্থ। কোনও ভুয়া খবরে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর হত্যা মামলা ও লাল মসজিদের ইমাম হত্যা মামলায় মোশারফকে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, ২০১৬ সাল থেকে দুবাইতে বসবাস করছেন। ২০০৭ সালে সংবিধান স্থগিত করার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন সামরিক শাসক চিকিৎসার জন্য ২০১৬ সালের মার্চ মাসে দুবাই চলে যান এবং তারপর থেকে আর পাকিস্তানে ফিরে আসেননি তিনি।