জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা যা যা অনুমান করে বলে গিয়েছেন, তার অধিকাংশই অক্ষরে-অক্ষরে সত্য হয়েছে। তাঁর অনুমান সত্য করেই পরবর্তী কালে ঘটেছে অ্যাডলফ হিটলারের উত্থান, ঘটেছে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের মতো ভয়ংকর ঘটনা! তাঁর অনুমানমতোই ঘটেছে ৯/১১, জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড, ফরাসি বিপ্লবের মতো ঘটনা।
১৫০৩ সালে দক্ষিণ ফ্রান্সে জন্ম নস্ত্রাদামুসের। ১৫৬৬ সালে মৃত্যু। তিনি একটি বই লিখে গিয়েছিলেন। 'লা প্রফেইটি'। সেখানে তিনি ৬,৩৩৮টি বিষয়ের কথা লিখে গিয়েছেন। শুধু এই ধরনের ঘটনার কথা উল্লেখ করেই ক্ষান্ত হননি। কখন কোথায় কীভাবে শেষ হয়ে যাবে এই পৃথিবী লিখে গিয়েছেন তা-ও!সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সব চেয়ে চিত্তাকর্ষক বিষয় হল-- নস্ত্রাদামুস করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বিষয়েও সতর্ক করে গিয়েছিলেন! হিসেব কষে দেখা গিয়েছে, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর অন্তত ৭০ ভাগই মিলে গিয়েছে! ২০২৩ সাল নিয়ে কী বলে গিয়েছেন তিনি? সেগুলিও কি সত্য হবে? সময়ই তা বলবে, আপাতত দেখে নেওয়া যাক, আসন্ন বছরটি নিয়ে ঠিক কী কী বলে গিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জিনপিংয়ের মুখোমুখি কমলা হ্যারিস! বৈঠকে দুই দেশ পরস্পরকে কী বার্তা দিল?
'গ্রেট ওয়ার'
বড় মাপের যুদ্ধ আর কী! সে তো হচ্ছেই। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধের সঙ্গেই গোটা বিশ্বের বিভিন্ন শক্তি নিজের নিজের মতো করে শিবির ভাগে মগ্ন। পৃথিবীজোড়া একটা যুদ্ধ লাগতে কতক্ষণ?
'সিলেস্টিয়াল ফায়ার'
দৈব অগ্নি জাতীয় কেনও ব্যাপার নয় এটা। নস্ত্রাদামুস-গবেষকেরা বলছেন, এ আসলে নতুন কোনও সভ্যতা বা, বলা ভালো, নতুন কোনও যুগের উত্থানের কথা। যেন ছাই থেকে জন্ম নেবে নতুন দিন! সত্যিই কি আসছে কোনও দিন-বদলানো দিন? তা, সময়টা তো সেরকমই। চারপাশ এত দ্রুত বদলাচ্ছে যে, সম্পূর্ণ নতুন কোনও সময় যে কোনও দিনই শুরু হতে পারে!
'মার্স ল্যান্ডিং'
মঙ্গল-অভিযান তো চলছেই। হয়তো এই ২০২৩ সালেই মানুষ নেমে পড়তে পারবে লালগ্রহে।
'গ্লোবাল ওয়ার্মিং'
বিশ্ব বহুদিনই উষ্ণায়নের মুখে দাঁড়িয়ে। দিন-দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। নস্ত্রাদামুস অনুমান করেছেন, আসন্ন ২০২৩ সালে পৃথিবী ভয়ানক রকম গরম হয়ে উঠবে। সমুদ্রের জল তেতে উঠবে, বহু মাছ ও জলজ প্রাণী মরবে।
'সিভিল আনরেস্ট'
গৃহযুদ্ধ। রাষ্ট্রের মধ্যে নানা ক্ষেত্রে অনৈক্যের সুর শোনা যাবে, বনিবনা ভাঙবে, যুদ্ধ লাগবে, রক্তে ভেসে যাবে চারদিক। গৃহযুদ্ধের মতো তা একক কোনও ভৌগোলিক ক্ষেত্রেই হয়তো আটকে থাকবে না। বহু দেশেই এরকম দেখা যাবে। ফলে, সেটা তখন বিশ্ব জোড়া এক অস্থির পরিস্থিতির জন্ম দেবে। একটা বড় মাপের বিপ্লব ঘটবে, যার হাত ধরে আসবে বড় পরিবর্তন।
'নতুন পোপ'
২০২৩ সালে ক্রিশ্চান বিশ্ব এক নতুন পোপ পাবে। বলেছেন এই ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা। শুধু তাই নয়, তিনি বলেছেন, এই পোপ মোটেই পোপ-সুলভ এক ব্যক্তি হবেন না, তাঁকে ঘিরে নানা কিসিমের বিতর্ক থাকবে। ধীরে ধীরে অবক্ষয় গ্রাস করবে এই ধর্মসংঘকে। এবং ধ্বংসের লগ্ন এগিয়ে আসবে।
বেশ, এবার অপেক্ষায় থাকা এবং দেখা যে, কী কী অব্যর্থ মিলিয়ে দেন এই অলৌকিক শক্তির অধিকারী মানুষটি!