ওয়েব ডেস্ক: BLACK AND WHITE যুগ পেরিয়ে গিয়েছে বহুদিন। দুনিয়া রঙিন। মনে রঙের ফোঁয়ারা না থাকলে, জীবনই যে বৃথা! সেই রঙের রামধনু যদি হাত বাড়িয়ে ছোঁয়াও যায়, তাহলে কেমন হয়? ভাবছেন অলীক স্বপ্ন? এও আবার হয় নাকি! যা অবিশ্বাস্য, তা কিন্তু সত্যিও হতে পারে। আকাশে নয়, মাটিতেই।
শিল্পীর মনের কল্পনা নয়। ক্যানভাসের ওপর তুলিতে ফুটিয়ে তোলা ছবিও নয়। লাল-নীল, হলুদ-সবুজের, নীল-বেগুনির এই সমাহার, খাঁটি বাস্তব।
দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। একটা গোটা পর্বতশ্রেণী যে এভাবে রঙের মিশেল হয়ে উঠতে পারে, ভাবলে সত্যিই স্বপ্ন মনে হয়। রুক্ষ, শুষ্ক মাটিই এখানে ক্যানভাস। প্রকৃতি নিজের খেয়ালে রঙের তুলি বুলিয়ে গিয়েছে পরের পর। এরপরের সৃষ্টি, চোখের সামনে। প্রকৃতির আজব খেয়ালে এই রঙিন পর্বতমালা মাথা তুলেছে চিনের ঝিয়াংগি দাংজিয়া ল্যান্ডফর্ম জিওগ্রাফিক্যাল পার্কে।
হিমালয়ের গঠন শুরুরও অনেক আগে থেকে এই পাহাড় তৈরি হতে শুরু হয়। টেকটনিক প্লেটের সরণের ফলে পাহাড়ের খাড়াইগুলি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এমন বিচিত্র রঙের বাহারের কারণ খুঁজতে অনেক পিছিয়ে যেতে হবে। বেলেপাথর জমাট বাঁধার সময় তার সঙ্গে মিশে যায় বিভিন্ন খনিজ, গাছপালার অংশবিশেষ। প্রথমদিকে পাহাড়ের রং ছিল একেবারে টকটকে লাল। তারওপর বছরের পর বছর ধরে জমেছে আরও নানা রঙের খনিজ উপকরণ। এই রংমহল গড়ে উঠতে সময় লেগেছে কোটি কোটি বছর।
গোটা বিশ্বে এ এক আজব বিস্ময়। প্রতি বছর লাখো মানুষ ছুটে আসেন, শুধু এ বিস্ময়ের সাক্ষী হতে। অনেকেই ফিরে ফিরে আসেন বারবার।
দেখেন বারবার। তবু মন ভরে না।