জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এলনাজ নরৌজি। ইরানীয় অভিনেত্রী। এবার তিনি অ্যান্টি-হিজাব আন্দোলনের অংশ হয়ে পড়লেন। তিনি প্রতিবাদ জানালেন সরকারের পোশাক সংক্রান্ত গোঁড়ামির বিরুদ্ধে। ইরান জুড়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের পারদ চড়েছে বহু দিন হল।
কিছু দিন আগে ইরানের অ্যান্টি-হিজাব লড়াইয়ের মধ্যেই ইন্টারনেটে আগুন ঝরিয়েছেন এক ইরানি সুপারমডেল! নগ্নতা বা স্বল্পবসনা হওয়াটার মধ্যে এমনিতে হয়তো কোনও সাহস নেই। দেখনদারিত্ব ছাড়া। কিন্তু যদি এমন একটা সময়ে কেউ নিজেকে স্বল্পবসনা হিসেবে তুলে ধরেন যখন 'বিধিসম্মত' পোশাকে শরীর ঢেকে না-রাখার জন্যই তাঁর নিজের দেশের পুলিসের হাতে নিগৃহীত হতে হচ্ছে সে দেশের তরুণীদের, তখন সেটা একটা সাহস তো বটেই।
আরও পড়ুন: Pilot Whales: নিউ জিল্যান্ডের সমুদ্রতীরে শয়ে শয়ে মৃত তিমি! কেন?
কেন কখনও কোনও ইরানি সুপারমডেল, কখনও-বা কোনও ইরানীয় অভিনেত্রী 'পোশাকে শরীর ঢেকে না-রাখা'র দিকে মন দিয়েছেন? বিষয়টার একটু ব্যাখ্যা দরকার।
ইরানে হিজাব-বিতর্কে আগুন জ্বলছে। হিজাব না পরার 'অপরাধে' এক ২২ বছরের তরুণীকে সেখানে মরতে হয়েছে পুলিসের হাতে; শুধু তাই নয়, এই ঘটনার প্রতিবাদ যাঁরা করেছেন, তাঁরাও পুলিসের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন। এই প্রেক্ষিতে সেই ইরানেরই কন্যা মাহলাঘা জাবেরির কিছু ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। ইরানের সরকার যখন সে দেশের মহিলাদের উদ্দেশ্য়ে ফতোয়া জারি করেছে, নিজের মতে পোশাক বাছাই করা যাবে না, সদা হিজাব দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে শরীর, ঠিক তখনই মাহলাঘা জাবেরির এই শরীরী প্রতিবাদ!
আর সেই এক জাতীয় প্রতিবাদে সামিল হলেন ইরানি অভিনেত্রী এলনাজ নরৌজি। তিনি মঙ্গলবারই ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি হিজাব ও হোরখা তো খুলেছেনই, এর পর একটার পর একটা পোশাক সরিয়ে নিজেকে, নিজের শরীরকে ধীরে ধীরে উন্মোচিত করে প্রায় অর্ধ-নগ্ন অবস্থায় চলে আসেন! আর সেটাই তাঁর প্রতিবাদ। নিজের শরীরকে উন্মোচিত করার মধ্যে দিয়ে তিনি হিজাব-বিতর্কে যাঁরা প্রতিবাদ-আন্দোলনে শামিল তাঁদের সঙ্গে একাত্ম হলেন।