Home> দুনিয়া
Advertisement

Ex MP's Wife Murder: মেয়ের পরকীয়ার জেরে খুন Ex সাংসদের স্ত্রী...

Bangladesh Crime: প্রাক্তন সংসদ সদস্য সামসুদ্দোহা খান মজলিশের বড় মেয়ে শামীমা ওরফে পপি। বাড়ির ইলেকট্রিশিয়ানের সঙ্গে প্রেমে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পপি। সম্পর্কে আপত্তি জানালে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে মাকেই খুন করে পপি।

Ex MP's Wife Murder: মেয়ের পরকীয়ার জেরে খুন Ex সাংসদের স্ত্রী...
Updated: Jul 02, 2024, 11:13 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশের প্রাক্তন সংসদ সদস্য সামসুদ্দোহা খান মজলিশ। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচিতি সুবল কুমার রায় নামের এক ব্যক্তির। ফলত প্রায়শই সামসুদ্দোহার বাড়িতে যাতায়াত করতেন তিনি। তাঁদের বাড়িতে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন। একপর্যায়ে নেতার বড় মেয়ের শামীমা ওরফে পপির সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন সুবল। সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে ওই বাড়িতে সুবলের যাতায়াত বন্ধ করে দেন পপির মা সেলিমা খান মজলিশ।

এইসবের পরও গোপনে যোগাযোগ ছিল সুবল-পপির। একদিন সকালে সুবলকে দেখে চিৎকার করতে শুরু করেন সেলিমা খান। পরে পপির সহায়তায় সুবল গলায় ছুরিকাঘাত করে সেলিমার। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁর মাথায় দেওয়া হয় ইলেকট্রিক শক। মৃতপ্রায় অবস্থায় সেলিমাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু ৪ দিন পর তিনি মারা যান।

দীর্ঘ ১৩ বছর কেটে গিয়েছে ঘটনায়। এত বছর পর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে পুলিস  ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার এসব তথ্য জানান। 

আরও পড়ুন:Bangladesh: বিবাহিত মেয়ের নগ্ন ছবি গেল বাবার ফোনে! প্রাক্তন প্রেমিকের ব্ল্যাকমেইলে লজ্জায় চরম সিদ্ধান্ত...

পিবিআই প্রধান বলেন, সেলিমা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরইমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। অভিযুক্তরা হল- ইলেকট্রিশিয়ান সুবল কুমার রায় (৫০), মেয়ে শামীমা খান মজলিশ ওরফে পপি (৫৭) এবং গৃহকর্মী আরতি সরকার (৬০)। সাভারের ভাগলপুর এবং পাকিজা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পিবিআইপ্রধান আরও বলেন, জবানবন্দি থেকে জানা যায়- ২০১১ সালের ১৪ জুন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। বাড়ির ডাইনিং রুমে নিহতের গলার দুই পাশে ফল কাটার ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে তাঁর প্রতিবন্ধী ছেলে সেতুর ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে খাটের চাদরের উপরে একটি পুরাতন পত্রিকা বিছিয়ে মাথার কাছে দুটি বালিশ দিয়ে চাপা দিয়ে এবং ঘাড়ের নিচে তোশক দিয়ে শুইয়ে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)