জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একটি মার্কিন জুরি মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছ। একজন আমেরিকান প্রাক্তন ম্যাগাজিন কলামিস্টকে যৌন নিপীড়ন এবং মানহানি করার জন্য দোষী সাবস্ত হয়েছেন তিনি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে পাঁচ মিলিয়ন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জুড়িতে থাকা নয়জন বিচারক ই. জিন ক্যারলের আনা ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তবে তিন ঘন্টারও কম সময় আলোচনার পর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ হওয়া এই দেওয়ানী বিচারে তাঁর আনা অন্যান্য অভিযোগ বহাল রেখেছেন।
এই মামলার রায়ে প্রথমবার ট্রাম্প কয়েক দশক আগের যৌন অসদাচরণের অভিযোগে আইনি পরিণতির সম্মুখীন হয়েছেন। এইরকম ঘটনায় এক ডজন মহিলা জড়িত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
৭৯ বছরের ক্যারল গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। ক্যারল অভিযোগ করেছিলেন যে ট্রাম্প ১৯৯৬ সালে ম্যানহাটনের ফিফথ অ্যাভিনিউতে বিলাসবহুল বার্গডর্ফ গুডম্যান স্টোরের চেঞ্জিং রুমে তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: Oman: প্রাগৈতিহাসিক! ৭ হাজার বছর ধরে হাঁ করে আছে রাশীকৃত কঙ্কাল! আতঙ্ক?
এলি ম্যাগাজিনের প্রাক্তন কলামিস্ট আরও দাবি করেছেন যে ২০১৯ সালে তিনি প্রকাশ্যে অভিযোগ করার পরে ট্রাম্প তাকে ‘সম্পূর্ণ কন জব’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
আগামী বছরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন ৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্প। তিনি এই মামলাটিকে ‘প্রতারণা’ এবং ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।
ক্যারল দুই সপ্তাহের দেওয়ানি বিচারে বলেছিলেন যে এই হামলায় তিনি ‘লজ্জা’ বোধ করেছে এবং পরবর্তীকালে রোমান্টিক সম্পর্ক রাখতে পারেনি।
তিনি বলেছিলেন যে প্রকাশ্যে আসতে তাঁর ২০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে কারণ তিনি ‘ভয়’ পেয়েছিলেন।
তার আইনজীবীরা আরও দু'জন মহিলাকে ডেকেছিলেন যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন যে কয়েক দশক আগে ট্রাম্প তাদের যৌন নির্যাতন করেছিলেন।
প্রাক্তন ব্যবসায়ী জেসিকা লিডস ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতকে বলেছিলেন যে ট্রাম্প ১৯৭০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাস বিভাগে তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছিলেন।
সাংবাদিক নাতাশা স্টোইনফ বলেছেন, ২০০৫ সালে তাঁর মার-এ-লাগো এস্টেটে একটি সাক্ষাৎকারের সময় ট্রাম্প তাঁর সম্মতি ছাড়াই তাঁকে চুম্বন করেছিলেন।
২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে প্রায় এক ডজন মহিলা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ এনেছিলেন। যদিও সেই নির্বাচনে জিতে তিনি হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন।
ট্রাম্প সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই অভিযোগগুলির কোনওটিতেই তাঁর কখনও বিচার করা হয়নি। অন্যদিকে ক্যারলের মামলা থেকে কোনও ফৌজদারি মামলা হতে পারে না।