Home> দুনিয়া
Advertisement

কেনিয়ার কলেজে জঙ্গি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৭, আহত ৭৯, ৪ হামলাকারীর মৃত্যুতে থেমেছে গুলির লড়াই

কেনিয়ার গরিসা ইউনিভার্সিটি কলেজে সোমালি ইসলামিস্টসদের হামলায় অন্তত ১৪৭ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। মারা গিয়েছে হামলাকারী ৪ জঙ্গিই। কেনিয়ার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র টুইটারে জানিয়েছে, ৪ জঙ্গিরই মৃত্যু হওয়ায় বন্ধ হয়েছে গুলির লড়াই।

কেনিয়ার কলেজে জঙ্গি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৭, আহত ৭৯, ৪ হামলাকারীর মৃত্যুতে থেমেছে গুলির লড়াই

ওয়েব ডেস্ক: কেনিয়ার গরিসা ইউনিভার্সিটি কলেজে সোমালি ইসলামিস্টসদের হামলায় অন্তত ১৪৭ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। মারা গিয়েছে হামলাকারী ৪ জঙ্গিই। কেনিয়ার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র টুইটারে জানিয়েছে, ৪ জঙ্গিরই মৃত্যু হওয়ায় বন্ধ হয়েছে গুলির লড়াই।

গুরুতর আহত অবস্থায় ৭৯ জন পড়ুয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৫৮৭ জন পড়ুয়াকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ গরিসা ইউনিভার্সিটি কলেজে হামলা চালায় ইসলামিক জঙ্গিরা। হামলার দায়স্বীকার করেছে আল কায়েদা জঙ্গি নেটওয়ার্কের আল শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠী। কলেজ ক্যাম্পাসের মসজিদে ক্রিশ্চান পড়ুয়ারাই তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল বলে জানিয়েছে আল শাবাব। নিজেদের রেডিও স্টেশনে আল শাবাব জানায়, আমরা বহু মানুষকে হত্যা করেছি। ভিতরে ঢুকে অবাক হয়ে যাবে কেনিয়ার মানুষ।

কিছুদিন আগেও আল কায়েদা ঘনিষ্ঠ সোমালিয়ার ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাব, গারিসা সহ কেনিয়ার একাধিক স্থানে এই ধরণের লাগাতার হামলা চালিয়েছে।

গারিসা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের এক পড়ুয়া জানিয়েছেন এই ধরণের হামলা হতেই পারে সে বিষয়ে আগে থেই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।

তিনি জানিয়েছেন '' কদিন ধরেই সন্দেহভাজন কজন শহরে ঘোরাফেরা করছিল। অনেকেই বুঝতে পারছিলেন এরা আসলে জঙ্গি। সোমবার আমাদের প্রিন্সিপাল হঠাৎ এসে জানান এই সন্দেহভাজনদের কলেজ চত্বরে দেখা গেছে। মঙ্গলবার ছুটির পর আমরা বাড়ি ফিরে যাই। কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কলেজ ক্যাম্পাস খোলাই ছিল। আশঙ্কা প্রমাণ করে সেই ক্যাম্পাসেই এবার হামলা হল।''

নাইরোবিতে ২০১৩ সালে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পিছনে আল শাবাবের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। সেই সময়ে জঙ্গি দমনে কেনিয়া সোমালিয়াতে সেনা পাঠিয়েছিল। আল শাবাবের দাবি ছিল এই হামলা সেই ঘটনার প্রতিশোধের একটা নমুনা ছিল মাত্র।

 

Read More