জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আন্টার্কটিকায় ভেঙে পড়ল এক বিশাল বড় আকারের হিমশৈল। ভেঙে পড়া হিমশৈলটির আকার ছিল প্রায় বৃহত্তর লন্ডনের সমান--দেড় হাজার বর্গকিলোমিটারের মতো। গত রবিবার হিমশৈলটি ভেঙে পড়ে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ আন্টার্কটিক সার্ভে (বিএএস)। ব্রিটেনের জাতীয় এই সংস্থা আন্টার্কটিকায় বিভিন্ন ধরনের গবেষণা ও নানা কিসিমের জরিপ পরিচালনার কাজে যুক্ত।
আরও পড়ুন: Iran Drone Attack: মাঝরাতে অন্ধকারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, অস্ত্র কারখানায় হামলার ছক?
এমন নয় যে, এখানে এত বড় একটি হিমশৈল ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা হঠাৎ করে ঘটল। এ নিয়ে আশঙ্কা একটা ছিলই। এক দশক আগেই বিজ্ঞানীরা ব্রান্ট আইস শেলফের এই হিমশৈলে বড় ধরনের একটি ভাঙনের বিষয়টি জানতে পারেন। বিগত দু'বছরে হিমশৈলটিতে বড় ধরনের দুটি ভাঙন ধরে। হিমশৈল বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, হিমশৈলটির ভাঙনে গবেষণাকেন্দ্রটির কোনো ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন: Earthquake in Iran: তীব্র ভূমিকম্পে মৃত ৭, আহত ৪০০-র বেশি! সীমান্ত-এলাকা যেন মৃত্যুপুরী...
জলবায়ু পরিবর্তনের জেরেই কি ভাঙল এই হিমশৈল?
গবেষকেরা বলছেন, এটা জলবায়ু পরিবর্তনের ফল নয়। ১৫৫০ বর্গকিলোমিটার আকারের এই হিমশৈলটি যে ভাঙবে তা একরকম জানাই ছিল তাঁদের। স্বাভাবিক প্রাকৃতিক কারণেই এটা ভেঙে পড়েছে।
ব্রিটিশ আন্টার্কটিক সার্ভে-র এক হিমশৈল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডমিনিক হজসন বলেছেন-- হিমশৈল ভেঙে পড়ার এই ঘটনা প্রত্যাশিতই ছিল। এটা ব্রান্ট আইস শেলফের স্বাভাবিক আচরণ। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো যোগ নেই। তবে সবকিছুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিজ্ঞানী ও পর্যবেক্ষণ দল তৎপর রয়েছে। এর জেরে ঠিক কোন কোন প্রাকৃতিক ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটবে তা নিয়ে এখনই কিছু খোলসা করেননি বিজ্ঞানীরা। তবে এর নেতিবাচক প্রভাব যে সমুদ্রস্তরে পড়বেই, তা নিয়ে নিশ্চিত তাঁরা।