নিজস্ব প্রতিবেদন: ডেটা পাচারের অভিযোগের তীর এর আগেই উঠেছিল Xiaomi-র বিরুদ্ধে। সেই বিষয়ে সম্প্রতি Xiaomi-র একটি বিবৃতি সামনে এসেছে। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রাহক তাঁর নিজের ইচ্ছায় Xiaomi সংস্থার সঙ্গে তাদের ডেটা শেয়ার করার সিন্ধান্ত নেবেন।
সম্প্রতি ইন্টারনেট সুরক্ষা গবেষক গাবি সার্লিগ ও অ্যান্ড্রু টিয়ের্নি Xiaomi-র বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, গ্রাহকদের ব্রাউজিং ডেটা চিনে আলিবাবার সার্ভারে পাঠানোর। সম্প্রতি জনপ্রিয় ফোর্বস ম্যাগাজিনেও এই রিপোর্টের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। ওই দুই ইন্টারনেট সুরক্ষা গবেষকের দাবি, স্মার্টফোনে থাকা ওয়েব ব্রাউজারের তথ্যের পাশাপাশি ‘ইনকগনিটো' মোডের ব্রাউজিং ডেটাও চিনে পাঠাচ্ছে Xiaomi।
At #Xiaomi, data privacy & security are of utmost importance!@XiaomiIndia had moved all it's data to local servers in #India ~2 years ago.
— Manu Kumar Jain (@manukumarjain) May 2, 2020
* We do NOT collect data w/o consent
* Data is encrypted
* India data stays in India
News article from 2 yrs ago: https://t.co/kcghUcZiUu
এতদিন Xiaomi গ্রাহকের মোবাইলে প্রাথমিক ব্রাউজার (ডিফল্ট) হিসেবে থাকায় গ্রাহকের ডেটা ট্র্যাক করতে সুবিধা হতো সংস্থার। MI এবং Redmi ফোন ব্যবহারকারীদের ডিফল্ট ব্রাউজার থাকায় চুপিসারে গ্রাহকের ডেটার ট্রাক রাখতে পারতো এই চিনা সংস্থা। তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই সেই সুবিধা এ বার বন্ধ হতে চলেছে MI এবং Redmi ফোনে। এ বার থেকে গ্রাহক তাঁর নিজের মতো ডিফল্ট ব্রাউজার সেট করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। যদিও ব্রাউজ করার সময় কোনও সংস্থা কেন ব্যবহারকারীকে ট্র্যাক করবে তা নিয়ে এখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি। তবে এই ঘটনাটি যে প্রকৃত পক্ষেই ঘটেছে তা Xiaomi-র এই বিবৃতিতে অনেকটাই স্পষ্ট হল।
Xiaomi-র বিরুদ্ধে সার্লিগ ও টিয়ের্নি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, রাশিয়া ও সিঙ্গাপুরের সার্ভারে এই সব তথ্য পাচার করা হচ্ছে। শুধু ব্রাউজিং ডেটাই নয়, স্মার্টফোনে কোন ফোল্ডারে কোন তথ্য রয়েছে বা সেটি কখন খোলা হচ্ছে, সেই তথ্যও পাচার করা হচ্ছে। এই দুই ইন্টারনেট সুরক্ষা গবেষকের দাবি, Google Play Store থেকে Xiaomi Browser ডাউনলোড করলেও এই সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। সার্লিগ ও টিয়ের্নির অভিযোগ, Play Store থেকে প্রায় ১.৫ কোটি বার এই ব্রাউজার ডাউনলোড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য গোপনে চিনে পাঠাচ্ছে Xiaomi! দাবি সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের
এই অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়ে Xiaomi। বেজিংয়ের এই সংস্থা জানিয়েছে, গ্রাহকের পরিচয় গোপন রেখে ব্রাউজিং ডেটা সংগ্রহ করা হয় ঠিকই। কিন্তু এই ডেটা অন্য সংস্থারর সঙ্গে শেয়ার করা হয় না। ব্রাউজ করার সময় কোনও সংস্থা কেন ব্যবহারকারীকে ট্র্যাক করবে তা নিয়ে এখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি।