ওয়েব ডেস্ক: ফ্রি ওয়াই ফাই জোনে দাঁড়িয়ে আপনি ইন্টারনেট করেন? তাহলে আজই সাবধান হোন। ফ্রি ওয়াই ফাই জোন থেকে হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শহর কলকাতার পার্ক স্ট্রিট বা দিঘার উপকূল। দাঁড়িয়ে বা বসে রয়েছেন তরুণ-তরুণীরা। সকলের হাতে স্মার্ট ফোন। স্মার্ট ফোনে খেলা করছে হোয়াটস অ্যাপ বা ফেসবুক। কেউ কেউ আবার আপডেট করে নিচ্ছেন অ্যাপগুলি। ওয়াই ফাই জোন হওয়ার পর এ দৃশ্য আমাদের সকলের কাছে পরিচিত। কিন্তু জানেন কি, এই ফ্রি ওয়াই ফাই জোনে বেশিভাবে সক্রিয় হ্যাকাররা। আপনার ওপর নজর রাখছে তারা। আপনি একটু অসতর্ক হলেই হ্যাকারদের হাতে আপনার তথ্য।
আরও পড়ুন- ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখতে এই অ্যাপগুলি দ্রুত ডিলিট করুন
টেক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন,ভারতের ৫২ শতাংশ মানুষ ক্রেডিট কার্ড কারচুপির শিকার। তাঁদের বেশিরভাগেরই ক্রেডিট কার্ড হ্যাক হচ্ছে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে। অনেক প্রোমোশনাল লিঙ্কের মধ্যে দিয়ে হ্যাকাররা নজরদারি চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রোমোশনাল লিঙ্কের মাধ্যম দিয়ে চুরি করতে পারে স্মার্টফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
অনেক সময় ফ্রি পার্সওয়ার্ড ওয়াইফাইয়ে ‘অথেনটিকেশনের’ সমস্যা হয়। ফায়ারশিপের মাধ্যমে সে ক্ষেত্রে চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার মোবাইল তথ্য। ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে হ্যাকারদের প্রচলিত ফাঁদ ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাক। অর্থাত্ অ্যাকসেস পয়েন্ট থেকে স্মার্টফোন, এর মাঝে হ্যাকাররা হাজির হয়ে রাউটারের মাধ্যমে অনায়াসে তথ্য চুরি করতে পারে
সাইড জ্যাকিং আর এক ধরণের ফ্রি ওয়াইফাই হ্যাকিং পদ্ধতি যেখানে অনায়াসে চুরি হয়ে যেতে পারে মেল বা ফেসবুক পার্সওয়ার্ড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজে সতর্ক হলেই এই সমস্ত হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব। অচেনা, পার্সওয়ার্ড ছাড়া ফ্রি ওয়াইফাই থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা বলছেন, ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক কানেক্টের সময় ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের ফাইল শেয়ারিং নিষ্ক্রিয় রাখতে।