Home> রাজ্য
Advertisement

Ichapur Incident: তীব্র কটু গন্ধ আসছিল বৃদ্ধের ঘর থেকে, দরজা খুলে তাজ্জব পুলিস

Ichapur Incident: বৃদ্ধ কাজ করতেন রাজ্য সরকারের অধীন সংস্থায়। পাড়ায় কারও সঙ্গে মিশতেন না। বলছে প্রতিবেশীরা

Ichapur Incident: তীব্র কটু গন্ধ আসছিল বৃদ্ধের ঘর থেকে, দরজা খুলে তাজ্জব পুলিস

বরুণ সেনগুপ্ত: ভাই বোনে দু'জনই বৃদ্ধ। একই বাড়িতে থাকতেন। সেই বাড়ি থেকে কটু গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। তারা যখন ওই বাড়িতে খোঁজ খবর করতে যান তখন তাঁদের বাধা দেন বাড়ির বৃদ্ধ বাবলু ঘোষ। এরপরই তাঁর খবর দেন নেয়াপাড়া থানায়। ঘর খুলে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় পুলিসের।

আরও পড়ুন-সরস্বতী পুজো পর্যন্ত চলবে পারদের ওঠানামা, সপ্তাহের শেষ বদল হবে আবহাওয়া

ইছাপুরের বিধানপল্লী এলাকার একটি বন্ধ ঘর থেকে কৃষ্ণা ঘোষ(৬৫) নামে এক বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করল নোয়াপাড়া থানার পুলিস। সেই দেহ বেশ কয়েকদিন ধরে আগলে বসেছিলেন কৃষ্ণা ঘোষের দাদা বাবলু ঘোষ। পুলিস বাবলুকে উদ্ধার করে চিকিত্সার জন্য বি এন বসু হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কীভাবে ও কবে ওই মৃহিলার মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় পুরসভার কাউন্সিলার প্রদীপ বসু বলেন, মনে হচ্ছে কয়েকদিন আগেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। বাবলু ঘোষ ও কৃষ্ণা ঘোষ ওই বাড়িতে থাকতেন। বাবুলদা সম্ভবত রাজ্যে সরকারের ওয়ালেফেয়ার দফতরে চাকরি করতেন। ওরা দুজনই মানসিক ভারসাম্যহীন। মানসিক সমস্যার কারণে অফিসে যেতেন না বাবলুদা। অফিস থেকে লোক এসে ওকে নিয়ে যেতে পারেনি। ভাই বোন একসঙ্গে থাকতেন। কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দিতেন না। এলাকা থেকে আমাকে একজন ফোন করে জানান যে ওই বাড়ি থেকে গন্ধ আসছে। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পাড়ার লোকজন ওদের চিকিত্সার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওরা কোনও সহযোগিতা করেননি।

প্রতিবেশী সৌমি মুখোপাধ্যায় বলেন, গত ১০ দিন ধরে ওই বাড়ি থেকে একটা গন্ধ আসছিল। আমরা খুব বেশি গুরুত্ব দিইনি। শেষপর্যন্ত জানতে পারলাম কৃষ্ণা ঘোষ মারা গিয়েছেন। ওরা কারও সঙ্গে মিশতেন না। এলকাই থাকতেন। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেল। ওদের এক দিদি টাকা পাঠাতেন। তাতেই ওদের সংসার চলত।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More