Home> রাজ্য
Advertisement

Joynagar Murder: জয়নগরে তৃণমূল নেতার হত্যাকাণ্ডের পেছনে 'বড়ভাই'! কী বলল ধৃত শাহরুল

Joynagar Murder:আদালতে শাহরুলের পক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি। ধৃতকে ১০ দিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। শাহরুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষারও নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিস সূত্রে খবর, নিহত সইফুদ্দিনের পাড়ায় একটি বাড়িতে চারদিন রাখা হয় শাহরুলকে

Joynagar Murder: জয়নগরে তৃণমূল নেতার হত্যাকাণ্ডের পেছনে 'বড়ভাই'! কী বলল ধৃত শাহরুল

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের পেছনে রয়েছে ব্য়ক্তিগত আক্রোশ। এখনওপর্যন্ত এমনটাই জানা যাচ্ছে পুলিস সূত্রে। সেই আক্রোশের বসেই অভিযুক্তরা ভাড়টে খুনি জড়ো করে। দুই আততায়ীর মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। ধরা পড়েছে শাহরুল সেখ নামে নেতড়ার বাসিন্দা এক যুবক। পুলিসের প্রশ্ন ছিল কারা ছিল খুনের পরিকল্পনার পেছনে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে একটি নাম। পুলিসের কাছে সেই নাম বলেছে ধৃত শাহরুল।

আরও পড়ুন-মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার বদলা! জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

পুলিসকে নেতাড়ার বাসিন্দা শাহরুল জানিয়েছে গুলি সে চালায়নি। মঙ্গলবার তাকে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে শাহরুল জানায়, ফেরি ও চুরির কাজ করত সে। তাকে চুরির কথা বলে জয়নগরে আনে সংগ্রামপুরের টেকপাঁজার বাসিন্দা 'বড়ভাই' ওরফে নাসির। সে-ই সইফুদ্দিনের উপরে নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছিল। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। কাজের জন্য কোনও টাকাও সে পায়নি। সইফুদ্দিন খুনের পর সাহাবুদ্দিন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে গণপিটুনিতে। শাহরুলের দাবি দাবি সে গুলি চালায়নি। গুলি চালিয়েছিল সাহাবুদ্দিনই।

fallbacks

এদিন আদালতে শাহরুলের পক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি। ধৃতকে ১০ দিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। শাহরুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষারও নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিস সূত্রে খবর, নিহত সইফুদ্দিনের পাড়ায় একটি বাড়িতে চারদিন রাখা হয় শাহরুলকে। গুলিচালনার পর পালিয়ে যাওয়ার রাস্তাও আগে থেকে ঠিক করা ছিল। শাহরুল ও জনতার পিটুনিতে নিহত সাহাবুদ্দিন ছাড়াও খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল আরও ৩ জন। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।

তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পুলিসের হাতে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে কোনও রাজনৈতিক কারণ নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতাতেই এই খুন হয়েছে।  কিন্তু কেন এই আক্রোশ? তদন্ত নেমে পুলিস জানতে পারছে যারা অভিযুক্ত তাদের সঙ্গে শত্রুতা তৈরি হয়েছিল সইফুদ্দিনের। কারণ তাদের ধারনা ছিল সইফুদ্দিন লস্কর তাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে। এরকমই ৩-৪ জন সইফুদ্দিনকে খুনের ছক করে। সেখানে আনিসুর নামে একজনের একটি ভূমিকা ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা খুনি ভাড়া করে। ভাড়াকরা খুনিরাই মসজিদে যাওয়ার পথে সইফুদ্দিনকে গুলি করে খুন করে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 

Read More