নিজস্ব প্রতিবেদন: নন্দীগ্রামে ফটো ফিনিশ! হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হারিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গণনাকেন্দ্র সূত্রে খবর তেমনই। তবে, যাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চার্টার্ড বিমান পাঠিয়েছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah), সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) জিততে পারলেন না। দ্বিতীয় বার বিধানসভায় যাওয়া হল না তাঁর পারিষদদেরও। একুশে ভোটে দলবদলুদের প্রত্যাখান করলেন বাংলার মানুষ।
তৃণমূল সরকারের সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জেতা মন্ত্রী। ২০১৬-এ হাওড়ার ডোমজুড় থেকে ১ লক্ষ ৭ হাজারের কিছু বেশি ব্যবধানে জিতেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajb Banerjee)। বরাবরই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, এখনও পর্যন্ত দুর্নীতির আঁচ লাগেনি গায়ে। একুশের ভোটে সেই সুযোগটাকেই কাজে চেয়েছিল বিজেপি।
গত বছরের শেষের দিক থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল রাজীবের। একের এক বেসুরো মন্তব্য করছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত যখন প্রথমে মন্ত্রিত্ব, তারপর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তখন বিজেপি যোগের জল্পনা জোরালো হল। হাওড়ার স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এই তৃণমূলকে নেতাকে যথেষ্ট গুরুত্বও দিয়েছিল গেরুয়াশিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। এতটাই যে, বঙ্গ সফর বাতিল হওয়ার পর অমিত শাহ (Amit Shah) নিজে ফোন করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee)। তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন বিশেষ চার্টার্ড বিমান। বিজেপিতে যোগ দিয়ে হাওড়ায় দলকে ভোট বৈতরণী পার করানোর দায়িত্বও নিয়েছিলেন রাজীব। কিন্তু তেমনটা হল কই! উল্টে ডোমজুড়ে এবার তিনি নিজেই হেরে গেলেন।
স্রেফ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একা নয়, তাঁর সঙ্গে একই বিমানে দিল্লি গিয়েছিলেন উত্তরপাড়ায় বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal), বালির বৈশালী ডালমিয়া (Baishali Dalmiya) ও হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীও (Rathin Chakarborty)। দুই বিধায়ক টিকিট পেয়েছিলেন তাঁদের জেতা আসনেই। আর রথীনকে শিবপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি। কিন্তু জিততে পারলেন না কেউই। এমনকী, দলবদল করার পর নিজে গড় ধরে রাখতে পারলেন না পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারিও (Jitendra Tiwari)।