কায়েস আনসারি: ২৩ বছর পরে দার্জিলিংয়ে পাহাড়-অঞ্চলে পঞ্চায়েত ভোট। এবং ভোটের আবহে যা হয়, প্রতিটি দলই গতকাল পর্যন্ত একে অপরের বিরুদ্ধে গলা তুলে বক্তব্য রেখেছে। কিন্তু আজ, পঞ্চায়েত ভোটের দিন শনিবার সকাল থেকেই অন্য ছবি পাহাড়ে।
আজ শনিবার সকাল থেকেই ভোট ঘিরে দার্জিলিংয়ের পাহাড়-অঞ্চলে উৎসবের হাওয়া। যেন পাহাড়ে কোনও বড় ফেস্টিভাল চলছে। বিভিন্ন পার্টির তরফে রান্নাবান্না চলছে। একটা খুশির ও বিদ্বেষহীন আবহ। প্রত্যেকটি পার্টিই আলাদা করে রান্না করছে বটে, কিন্তু তারা পরস্পরের সঙ্গে তা ভাগযোগও করছে। শুধু কর্মীরাই নন, স্বয়ং প্রার্থীরাও আজ ফ্রেন্ডলি মুডে।
পাহাড়ি পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে শান্তির বাতাবরণ। আজ এই ভোটকে ঘিরেই রাজ্যের একদিকে যখন রক্তবন্যা, বোমা, সংঘর্ষ, মারামারি-কাটাকাটি চলছে, দার্জিলিংয়ে তখন অন্য ছবি। স্প্রিং সাইড টি গার্ডেনে দেখা গেল তেমনই ছবি। এখানে কি কোনও সমস্যা, কোনও সংকট নেই? আছে। আছে বলেই, এ এলাকার বিজেপি প্রার্থী বলেছেন-- 'আমরা পাহাড় থেকে দুর্নীতি হটাব। আমরা উন্নয়নও করব এলাকায়। আমাদের চা-বাগানের শ্রমিকেরা ঠিক সময়ে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। আমরা জিতলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।' কিন্তু এইটুকুই। এর জেরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আজ সকাল থেকেই চা-বাগানে সকলে শান্তভাবে লাইন দিয়ে নিজেদের ভোটটি দিচ্ছেন। যেহেতু বহুদিন পরে এখানে পঞ্চায়েত ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেহেতু আজ এখানে যাঁরা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের অনেকেই প্রথমবারের জন্য পঞ্চায়েত ভোট দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।
আম্বোতিয়া টি-গার্ডেনেও বন্ধুত্বপূর্ণ ছবি। এখানে লড়ছে বিজেপি এবং 'ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা' (বিজিপিএম)। তবে দুই দলের নেতাই বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। তাঁরা একসঙ্গে এলাকার উন্নয়েন হাত লাগাবেন বলেও উল্লেখ করেছেন।