নিজস্ব প্রতিবেদন: সামনেই বিধানসভা ভোট, তাই বলে ভোট নিয়েই যে সকলে মেতে তা কিন্তু নয়। বরং মাল ব্লকের একদল মানুষ মাতলেন কৃষিকাজে।
কেন?
আসলে চাষবাসের সুবিধার জন্যই তিস্তার ধারা থেকে একটি ক্যানাল তৈরি হয়েছিল মাল ব্লকে। লোকমুখে তার নাম দাঁড়িয়েছে 'বাঁহাতি ক্যানাল' (আসলে এখানেই ডানদিকেও একটি ক্যানাল আছে)। সেই ক্যনালের জল পেতেই এবারে জমে উঠেছে স্থানীয় কৃষিকাজ। ভোট ভুলে তাই শুখা মরসুমেই মহা আনন্দে কৃষিকাজ করছেন কৃষকেরা।
এই সময়টা এ অঞ্চলে সাধারণত নদী-নালায় জল থাকে না। আর এতেই সমস্যায় পড়েন ডুয়ার্সের কৃষকেরা। বিশেষ করে বছরের এই সময়ে জমিতে ধানচারা রোপণের কাজ করা হয়। সেজন্য চাই পর্যাপ্ত জল। কিন্তু শুখা মরসুমে জল না পেয়ে বরাবর সমস্যায় পড়েন কৃষকেরা।
সেই সমস্যা ঘুচে গেল এইবার। ফলে চাষবাসে আশার আলো দেখছেন মালবাজার ব্লকের বহু কৃষক (Farmers)। গাজোলডোবা (Gajoldoba), কাঠামবাড়ি, ক্রান্তি-সহ এই সব এলাকার কৃষকেরা তিস্তার (Tista) বাঁহাতি ক্যানেলের (Canal) জল দিয়ে খুশিমনে কৃষিকাজ করছেন।
উল্লেখ্য, এই সব কৃষিপ্রধান এলাকার কথা মাথায় রেখেই গাজোলডোবায় তিস্তা ব্যারেজ (Tista Barrage) থেকে এই বাঁহাতি ক্যানেল প্রায় বছরআষ্টেক আগে তৈরি হয়েছিল। শুখা মরসুমেই এই ক্যানেলের জল ছেড়ে দেন ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অন্যান্যবার এত মসৃণ ভাবে জল মেলে না। এ বছর জলের ধারা খুবই ভাল। ফলে ক্যানেল-সংলগ্ন জমিতে সানন্দে কৃষিকাজ করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
এ নিয়ে কী বলছেন কৃষকেরা?
এলাকার কৃষক শ্রীপদ রায়, দুর্গা সরকারদের বক্তব্য, তিস্তার এই বাঁহাতি ক্যানেলের জল দিয়ে শুখা মরসুমে তাঁরা বরো ধান চাষ করেন। এতে তাঁদের খুব উপকার হয়। টাকা খরচ করে পাম্পসেট বসাতে হয় না তাঁদের।
এলাকার ধান ব্যবসায়ী মদন বিশ্বাস বলেন, বাঁহাতি ক্যানেল এলাকার কৃষকদের খুবই উপকার করেছে। শুখা মরসুমে গাজোলডোবার বাঁহাতি ক্যানেলের লকগেট খুলে দেয় ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। আর সেই জল দিয়ে মাল ব্লকের বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা কৃষিকাজ করছেন।
এই সব এলাকার কৃষকদের তাই ভোট নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। এখন কৃষকেরা মাঠেই সারাদিন পড়ে রয়েছেন এবং কৃষিকাজ সারছেন।