নিজস্ব প্রতিবেদন: ভয়াবহ সেই ঘটনার স্মৃতি এখনও দগদগে। আজ ফের শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে ভোট দিতে চোখে জল ১০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের পরিবারের লোকজনের। তবে নিহত মনিরুজ্জামানের স্ত্রী রাহিলা সাফ জানালেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিচার চাই। তাই ফের ভোট দিতে এসেছি।
আরও পড়ুন-Covid রোগীর দেহ লোপাটের অভিযোগ, বহু চেষ্টায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে Complaint নিল পুলিস
গত ১০ এপ্রিল শীতলকুচির(Shitalkuchi) জোড়পাটকির এই ১২৬ নম্বর বুথে গোলমালের জেরে গুলি চালিয়ে দেয় সিআইএসএফ। তাদের দাবি, কয়েকশো লোক তাদের ঘিরে ধরে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তার পরেই তারা গুলি চালাতে বাধ্য হন।
কী হয়েছিল সেদিন? গত ১০ এপ্রিল মাথাভাঙার জোড়পাটকায় আমতলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বুথে তখন ভোট চলছিল। এর মধ্যেই গোলমালের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় এলাকার ৪ যুবকের। বুলেটের আঘাতে একজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বাকি তিন জনকে গুরুতর অবস্থায় এলাকার গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বাকি ৩ জন। নিহতরা হলেন, মণিরুজ্জামান(২৮), হামিদুল মিঞা (৩০), সামিউল হক(২০) এবং নুর আলম মিঞা (২০)।
আরও পড়ুন-খালি শয্যা, অ্যাম্বুল্যান্স থেকে টেলি মেডিসিন- হদিশ স্বাস্থ্য দফতরের নতুন পোর্টালে
শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে কী কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হল সিআইএসএফ(CISF)? সেদিন কোচবিহারের (Cooch Behar) পুলিস সুপার দেবাশিস ধরের কথায়,'বাহিনীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল দুষ্কৃতীরা। তখন গুলি চালাতে বাধ্য হন জওয়ানরা।' গোটা ঘটনাক্রম বিবৃতি দিয়ে জানাল সিআইএসএফও। তাদের বক্তব্য,'শূন্যে গুলি চালানোর পরেও উন্মত্ত জনতাকে ঠেকানো যায়নি। সে কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হন জওয়ানরা।'