নিজস্ব প্রতিবেদন : রাত পোহালেই শনিবার ভোট। আর তার আগের দিনই শালবনিতে (Salboni) বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল। গাছে মিলল বিজেপি (BJP) কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম লালমোহন সোরেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সাতসকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির (Salboni) বাগমারী এলাকায় রাস্তার পাশে জঙ্গলের মধ্যে একটি গাছে লালমোহন সোরেন নামে ওই বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। ঝুলন্ত দেহটি প্রথম দেখতে পান এলাকাবাসীরা। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় শালবনি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শালবনি থানার পুলিস। দেহটি উদ্ধার করে। ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে এভাবে দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
এই ঘটনায় শাসকদলের দিকে খুনের অভিযোগ করেছেন বিজেপি (BJP) স্থানীয় নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, লালমোহন দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কয়েকদিন ধরেই এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির পতাকা, ফেস্টুন সব ছিঁড়ে ফেলছিল। এমনকি বিজেপি প্রার্থীর দেওয়াল লিখনে গোবরও লেপে দেওয়া হয়েছিল। লালমোহন সোরেন তার প্রতিবাদ করেছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, সেই কারণেই তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতির সাফ বক্তব্য, "এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। বিজেপি হেরে যাবে বলেই এমন অভিযোগ করছে।আত্মহত্যার ঘটনাকে খুন বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, গতকালই এডিজি পশ্চিমাঞ্চলকে অপসারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইপিএস অফিসার সঞ্জয় সিংকে পরইএডিজি পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে আইপিএস রাজেশ কুমারকে। এদিকে তার পরদিনই বিজেপি (BJP) কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাপে প্রশাসন। প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার সকালে কোচবিহারের দিনহাটায় মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দিনহাটায় বিজেপির পার্টি অফিস লাগোয়া পশু চিকিৎসালয়ের বারান্দায় দেহটি উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলে কড়া তোপ দাগেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এই ঘটনায় রিপোর্টও তলব করেছে কমিশন। পাশাপাশি গতকাল কোচবিহার এসপিকেও বদল করেছে কমিশন।
এদিন শালবনিতে দেহ উদ্ধারের পরে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আসেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি প্রার্থী শমিত দাসও আসেন লালমোহন সোরেনের বাড়িতে। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সাথে কথা বলেন তিনি। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে এই ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শমিত দাস।