নিজস্ব প্রতিবেদন: ট্রেন চালু করতে হলে কী কী ব্যবস্থা করতে হবে তা খতিয়ে দেখতে আজ বৈঠক করল শিয়ালদহ ডিভিশন। তবে রেল বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি। যদিও আগে ভাগেই সমস্ত ব্যবস্থা করে রাখতে চায় কর্তৃপক্ষ। আজকের বৈঠকে আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যেখানে যাত্রী বেশি সেখানে থার্মাল ক্যামেরা লাগানোর চেষ্টা করা হবে। তাছাড়াও এই পরস্থিতিতে যে সব স্টেশন দিয়ে যাত্রী ওঠানামা করবে সেখানে রাজ্য প্রশাসনের সাহায্য দরকার হবে।
আরও পড়ুন: 'পৌষ মেলার মাঠে চলে পতিতাবৃত্তি', অগ্নিমিত্রার মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়
এই মুহূর্তে প্রায় ১২১টি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী তা বাড়ালে আরও ১০০টি ট্রেন চালাতে হবে। কাজেই এই পরিস্থিতিতে সব স্টেশনে ট্রেনের স্টপেজ রাখলে সেখানে চেকিং সম্ভব নাও হতে পারে। কাজেই সেদিকটাও মাথায় রাখতে হবে কর্তৃপক্ষকে। এদিন বৈঠকে জানানো হয়েছে যে, এখন পরিস্থিতি যা তাতে ট্রেন চলার অনুমতি এলে প্রস্তুতি নিতে বাড়তি ৪-৫ দিন সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হবে আনলক ফোর। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব মেনে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় মেট্রো এবং শহরতলির ট্রেন চালানো যেতে পারে, তাতে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই। তবে একসঙ্গে সব নয়। ধাপে ধাপে চালাতে হবে বসলেই নির্দেশ দেন মমতা। তাহলে কি সেই কারণেই তড়িঘড়ি বৈঠক? অনেকেই মনে করছে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে পারে পরিষেবা। যদিও এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ।