নিজস্ব প্রতিবেদন: এক সময় দলীয় সংগঠনের কাণ্ডারি ছিলেন তিনি। দল বদলে এখন তিনি বিজেপিতে। তাই বলে তো আর তাঁর সাংগঠনিক ক্যারিশমা কমে না... এহেন মুকুল রায়ের খাসতালুকে দলীয় সংগঠন ধরে রাখতে বাড়তি সতর্ক তৃণমূল। দলবিরোধী কাজের থেকে বিরত থাকবেন, এই মর্মে রীতিমতো কাঁচরাপাড়া ও হালিশহরের কাউন্সিলরদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করে ছাড়ল তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।
মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিতেই শুরু হয়েছিল গুঞ্জন। এর পর মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু দলীয় কর্মসূচি থেকে গায়েব হয়ে যাওয়ায় তা শোরগোলের আকার নেয় তৃণমূলের অন্দরে। দলত্যাগের পর মুকুল রায় এখনো ঘাসফুল শিবিরে বড় ভাঙন ধরাতে না পারলেও সংগঠন রক্ষায় কোনও ফাঁক রাখতে নারাজ জ্যোতিপ্রিয়রা। তাই মুকুলের ডেরা কাঁচরাপাড়া ও হালিশহরের বিধায়কদের রীতিমতো ক্লাস নিল তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, হপ্তাদুয়েক আগে মধ্যমগ্রামের জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে তলব করা হয় দুই পুরসভার ৪৪ জন কাউন্সিলরকে। কোনও অবস্থাতেই দলবিরোধী কোনও কাজ বরদাস্ত হবে না স্পষ্ট করে দেন জ্যোতিপ্রিয়, অর্জুন সিংরা। এর পর কাউন্সিলরদের থেকে দলের প্রতি আনুগত্য ও দলবিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি আদায় করেন তৃণমূল নেতারা।
আরও পড়ুন - মায়ানমার সফরে 'রোহিঙ্গা' নাম মুখেই আনলেন না পোপ ফ্রান্সিস
বৈঠকে তৃণমূল কাউন্সিলরদের কাছে অভাব অভিযোগ শুনতে চান উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উঠে দাঁড়িয়ে এক কাউন্সিলর বলেন, আমরা দলের সঙ্গে আছি। তখন বাকি কাউন্সিলরদের জ্যোতিপ্রিয় প্রশ্ন করেন, আপনারা সবাই দলের সঙ্গে আছেন তো? সমস্বরে কাউন্সিলররা সদর্থক জবাব দেন।
সূত্রের খবর, বৈঠকের অ্যাজেন্ডা জানা ছিল না কারও। পরে জানা যায়, দলের কাউন্সিলরদের কাছে নেতৃত্বের বার্তা পৌঁছে দিতে এই আয়োজন। বৈঠকে পাশ হওয়া প্রস্তাব দলের শীর্ষনেতৃত্বের কাছে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলার নেতারা।