Home> রাজ্য
Advertisement

'বনমন্ত্রীর মুখ ও মুখোশ আলাদা', এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ কল্যাণ ঘোষের

তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, ডোমজুড় বিধানসভা থেকে জিতে সেচ মন্ত্রী হওয়ার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন।

'বনমন্ত্রীর মুখ ও মুখোশ আলাদা', এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ কল্যাণ ঘোষের

নিজস্ব প্রতিবেদন- বেশ কয়েক মাস ধরে বেসুরো রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রকাশ্য সভায় একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন হাওড়া জেলা পরিষদের মেন্টর কল্যাণ ঘোষ। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, ডোমজুড় বিধানসভা থেকে জিতে সেচ মন্ত্রী হওয়ার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। প্রকৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দলের মধ্যে কোণঠাঁসা করে তাঁদের মারধর এবং বিভিন্ন মিথ্যে মামলায় ফাঁসান! এলাকায় নিজের পছন্দমতো লোকেদের নিয়ে দল তৈরি করেছেন মন্ত্রী। এমনকী পুকুর ভরাট, বেআইনি নির্মাণ, তোলাবাজি সহ নানা অবৈধ কাজ করেছেন বলেও সরাসরি অভিযোগ করেছেন। 

এদিন কল্যাণ ঘোষ বলেছেন, ''রাজীব বাবু সেচ মন্ত্রী থাকাকালীন বালি তোলা থেকে রাজ্যের কোষাগারে রাজস্ব সবচেয়ে কমে যায়। বালি মাফিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এই অবস্থা হয়েছিল। তিনি নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য এমন বেআইনি কাজ করেছিলেন।'' তাঁর আরও অভিযোগ, নিজের আত্মীয়দের পাকা সরকারি চাকরি দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ এলাকার কয়েকটি ছেলেকে চুক্তির চাকরি দিয়েছেন। ২০১৮  সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডোমজুড় কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিশিয়াল প্রার্থী কল্যাণ ঘোষকে হারিয়ে দেয়। দলের প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী রাজীববাবুকে সেচ দপ্তর থেকে সরিয়ে অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী করেন। এম একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে কল্যাণ ঘোষ বলেন, ''হিম্মত থাকলে সেই সময় দল থেকে চলে যেতে পারতেন। তা না করে হাতে-পায়ে ধরে দলে থেকে গেলেন। মন্ত্রী হয়ে কাজের সুযোগ পেয়েও কিছু করেননি।'' 

আরও পড়ুন-  'সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করতে পীরজাদাদের নামাবে BJP-RSS', বিস্ফোরক ত্বহা সিদ্দিকি

তাঁর অভিযোগ, ফাঁদে পড়েছেন বলেই এখন বেসুরো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তলে তলে তিনি বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলছেন বলেও অভিযোগ করলেন কল্যাণ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ''বনমন্ত্রীর মুখ ও মুখোশ আলাদা। তিনি দেখতে ভাল এবং মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। দলের ক্ষতি করছে, দলকে ব্ল্যাকমেইল করছেন। তবে নিচু তলার কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত। তিনি বিজেপি থেকে দাঁড়ালে ডোমজুড় কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তাঁকে যোগ্য জবাব দেবে।'' এই বিষয়ে রাজীব  বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন তোলেননি।

Read More