নিজস্ব প্রতিবেদন: কাল রাজ্য বাজেটের উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি যে প্রথা ভাঙার পথেই হাঁটতে চলেছেন, তা আরও একবার পরিষ্কার করে দিলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার শ্রীনিকেতন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জগদীপ ধনকড় বলেন, রাজ্য সরকারের যেমন রাজ্যপালের বক্তৃতা তৈরি করে দেওয়ার অধিকার আছে, তাঁরও নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে।
ধনখড়ের দাবি, এর আগে যত রাজ্যপাল রাজ্য বাজেটের সূচনা বক্তৃতা পড়েছেন, তাঁরা সকলেই স্বাধীনতার আগে জন্মেছিলেন। তিনিই হলেন প্রথম এমন কোনও রাজ্যপাল যিনি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জন্মেছেন এবং বাজেটের উদ্বোধনী বক্তৃতা দেবেন। এ নিয়ে তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, রাজ্য়পাল বিজেপির লোক, বিজেপির কথাই বলছেন। এতবছরে কোনও দেখেনি রাজ্যপাল বাজেটের খসড়া দেখতে চাইছেন। রাজ্যপাল জল ঘোলা করতে এসেছেন, জল পরিষ্কার করতে আসেননি। রাজ্যে বাজেটে উদ্বোধনী বক্তৃতা বিতর্কে প্রতিক্রিয়া স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের।
আরও পড়ুন- দাদা, কাঁচা চিট্টা খুলে দিলে আপনি আঘাত পাবেন, লোকসভায় সৌগতকে হুঙ্কার মোদীর
শ্রীনিকেতনে মাঘ মেলার উদ্বোধন করে তিনি বলেন, বাংলার কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং সেই বঞ্চনা করছে রাজ্য ,সরকার। রাজ্যের ৭০ লক্ষ কৃষক ইতিমধ্যেই ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ৪হাজার কোটি টাকার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্যপাল। কৃষকদের অধিকার আদায়ের কথা বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের উদ্যোগে চালু শ্রীনিকেতন মেলার প্রসঙ্গ টানেন তিনি।
রাজ্যপালের অভিযোগ, অসংখ্য কৃষক পরিবার বিপুল অঙ্কের অর্থ সাহায্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় তার প্রভাব পড়ছে অর্থ ব্যবস্থায়। এরপরই তাঁর মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা যাতে সরাসরি বাংলার কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌছয়, তার জন্য কেন্দ্রকে সব জানানো দরকার।