Home> রাজ্য
Advertisement

ছক ভেঙে অন্য শুক্লা পঞ্চমী, পৌরহিত্যে ফের নজির স্কুল শিক্ষিকার

কথাটা প্রথমে মাথায় এসেছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আলো সরকারের। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কোনও পুরুষ নন, স্কুলের সরস্বতী পুজোয় পৌরহিত্য করবেন স্কুলেরই শিক্ষিকা। এরপরই প্রস্তাব যায় স্কুলেরই রাষ্ট্র বিজ্ঞানের শিক্ষিকা জয়া চক্রবর্তীর কাছে। 

ছক ভেঙে অন্য শুক্লা পঞ্চমী, পৌরহিত্যে ফের নজির স্কুল শিক্ষিকার

নিজস্ব প্রতিবেদন: যুগের হাওয়ায় তাল মিলিয়ে সমাজ আজ অনেকটাই স্বাবালক। ভাঙছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বেড়াজাল। প্রজাপতি ঋষির পুজোই হোক বা বাণীবন্দনা, মহিলারা সিদ্ধহস্ত সবেতেই। বহুবার যার প্রমান দিয়েছে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা। গতকালই স্কুলে সরস্বতী পুজোয় পৌরহিত্য করে সংবাদের শিরোনামে এসেছেন একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। এবার ফের পুরোহিতের ভুমিকায় শিক্ষিকা।

কথাটা প্রথমে মাথায় এসেছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আলো সরকারের। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কোনও পুরুষ নন, স্কুলের সরস্বতী পুজোয় পৌরহিত্য করবেন স্কুলেরই শিক্ষিকা। এরপরই প্রস্তাব যায় স্কুলেরই রাষ্ট্র বিজ্ঞানের শিক্ষিকা জয়া চক্রবর্তীর কাছে। তিনি ফেরাননি সেই প্রস্তাব। বসলেন পুরোহিতের আসনে। চেনা ছন্দের বাইরে গিয়ে বাগদেবীর আরাধনায় মাতল জলপাইগুড়ি পাকুরি এলাকার বিবেকানন্দ হাই স্কুল। নিয়ম নিষ্ঠা মেনে, ষোড়শ উপাচারেই স্কুলের সরস্বতী পুজোর পৌরহিত্য করলেন জয়া।

এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, "আচমকাই আমার মাথায় আসে এই কথাটা। বাড়িতে যদি নিত্য পুজো করতে পারি তবে এমন বিশেষ দিনে আমাদের বাঁধা কোথায়। এরপর কথাটা জানাই বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।"  সুমনা সরকার নামে এক শিক্ষিকার কথায়, "এরপরই বড়দিমনির কথায় আমারা আদা জল খেয়ে লেগে পড়ি। আমাদের স্কুলের জয়া চক্রবর্তী নামে এক শিক্ষিকা কে অনুরোধ করি পুজো করার জন্য। শুরু হয় পুজোর প্রস্তুতি। আজ পুজোর পাশাপাশি স্কুলে খাওয়া দাওয়ারও আয়োজন করা হয়েছিল।"

জলপাইগুড়ির এই কো এড স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় হাজার। পুজো সারার পর শিক্ষিকা জয়া চক্রবর্তীর অনুভূতিটাও অন্যরকম। প্রথমটায় কিছুটা জড়তা থাকলেও সহকর্মীদের সহায়তায় দিব্যি পুজোর আচার শেষ করলেন তিনি। তিনি বলেন, "সকলে একসঙ্গে বলায় আমি আর না করতে পারিনি। তবে ভয় ছিল। আমার স্বামী পেশায় পুরোহিত। বাড়িতে গত তিন দিন ধরে তিনি আমাকে পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়ে শিখিয়েছেন। অবশেষে আজ পুজো সারলাম। এখন বেশ মানসিক শান্তি পাচ্ছি।"

Read More