সোমা মাইতি: দশম শ্রেণির ছাত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল আবাসিক স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। তবে স্কুলের অভিযোগ, বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে ওই ছাত্রীর দেহ। গতকাল সন্ধেয় স্কুল থেকে ওই ছাত্রীর আররণ নিয়ে ফোন আসার পর থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সবকিছু ঘটে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ গোটা পারিবার।
আরও পড়ুন-সুস্থ হয়ে দুই 'হিরো'-র ছবি পোস্ট করে ধন্যবাদ জানালেন ঋষভ পন্থ
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতি থানায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন মহেশমালি মোড়ের ভয়েস পাবলিক স্কুলে। ওই স্কুলেই নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল আফসানা খাতুন নামে ওই পড়ুয়া। আফসানার বাড়ি বড়ঞা থানার আকাম্বা গ্রামে। বর্তমানে ওই আবাসিক স্কুলে সে দশম শ্রেণিতে পড়তো। পরিবারের দাবি, স্কুলের শিক্ষকরাই তাকে মেরে ফেলেছে। তবে স্কুলের দায়িত্বে থাকা এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, বাথরুমে গালায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করেন শিক্ষিকারা। এনিয়ে সুতি থানায় খুনের অভিযোগ করেছে পরিবার।
উল্লেখ্য, গতকাল আফসানার বাড়িতে ফোন করে স্কুল থেকে বলা হয়, সে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করছে। তাকে স্কুলে নিয়ে নিয়ে যান। তার পর বারবার ফোন করে একবার বলা হয় আফসানা অসুস্থ, কখনও বলা হয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, কখনও বলা হয়ে সে আত্মঘাতী হয়েছে।
ছাত্রীর বাবা বলেন, গতকাল সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ আমাকে স্কুল থেকে ফোন করা হয়। বলা হয়, আপনার মেয়ে বদমায়েশি করছে। ওকে আপনারা নিয়ে যান। সেইসময় আমি বলেছিলাম, সকালে এসে ওকে নিয়ে যাব। আটটা নাগাদ স্কুলে ফোন করে মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই। স্কুল থেকে বলা হয়, মেয়েকে দেওয়া যাবে না। রাত ১১.৪০ নাগাদ ফের স্কুলে থেকে ফোন আসে। বলা হয়, আপনার মেয়ে অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আমরা সুস্থ মেয়ে কীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ল? ওরা বলল আসুন, এলে বুঝতে পারবেন। রাত পৌনে একটা নাগাদ ফের ফোন আসে। আমাকে বলা হয়, আপনার মেয়ে মারা গিয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমার মেয়ে বদমায়েশি করল, অসুস্থ হল। আবার মারাও গেল? আমার বিশ্বাস, মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে।