Home> রাজ্য
Advertisement

প্রতিবেশীদের হুমকির শিকার, ইছাপুরে বাড়ি থেকেই বেরোতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মী

চরম হেনস্থার মুখে চাকরি ছাড়ার কথা ভাবছেন সুচিত্রা দেবী। আর যাঁরা কিছু না জেনেই নেহাতই সন্দেহের বশে স্বাস্থ্যর  মতো জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সুচিত্রা দেবীকে আটাকাচ্ছেন তাঁরাও অদ্ভুদ যুক্তি দিয়েছেন।

প্রতিবেশীদের হুমকির শিকার, ইছাপুরে বাড়ি থেকেই বেরোতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা যুদ্ধে ফ্রন্ট লাইন হিরো ওঁরা। জীবনের বাজি রেখে আমাকে আপনাকে সুস্থ রাখার লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিত্সক-নার্সরা। অথচ, ওঁদেরই পড়তে হচ্ছে হেনস্থার মুখে। উত্তর চব্বিশ পরগনার ইছাপুরে ধরা পড়ল লজ্জায় মাথা হেঁট করে দেওয়ার ছবি। 

স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় অর্ডিন্যান্স জারির কয়েকঘণ্টার মধ্যেই চরম অমানবিকতার চিত্র উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরে। বারাকপুর মহকুমা হাসপাতালের নার্স সুচিত্রা প্রামাণিক। বাড়ি ইছাপুরের শরত্‍ নগরে। করোনা প্রকোপ বাড়ার পর থেকেই বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। কারণ, পাড়া পড়শির অমানবিক আচরণ। 

আরও পড়ুন: বাদুড়িয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে তত্‍পর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব, ২০ হাজার পরিবারে পৌঁছল ত্রাণ

সুচিত্রা দেবীর অভিযোগ পরশু দিন হাসপাতাল থেকে ডিউটি করে ফেরার পরই তাঁর বাড়িতে হাজির হয় নোয়াপাড়া থানার পুলিস। বাড়িতে আটকে দেওয়া হয় হোম কোয়ারেন্টাইনের নোটিশ। কিন্তু, কেন? কিছু বুঝেই উঠতে পারছেন না সুচিত্রা।

চরম হেনস্থার মুখে চাকরি ছাড়ার কথা ভাবছেন সুচিত্রা দেবী। আর যাঁরা কিছু না জেনেই নেহাতই সন্দেহের বশে স্বাস্থ্যর  মতো জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সুচিত্রা দেবীকে আটাকাচ্ছেন তাঁরাও অদ্ভুদ যুক্তি দিয়েছেন।কোভিড নাইট্টিনে সুচিত্রা দেবী আদৌ আক্রান্ত কিনা জানেননা কেউ। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে, পুলিসে অভিযোগ করতে পিছপা হননি পাড়া প্রতিবেশীরা। দাবি একটাই, হাসপাতালে যেতে পারবেন না ওই নার্স। পুরো বিষয়টি নজরে এসেছে স্থানীয় পুর প্রধানের। 

আরও পড়ুন: 'কাজে যোগ দিন, নইলে...', কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ডাক্তারদের কড়া হুঁশিয়ারি
 

ইছাপুর থেকে বারাকপুর হাসপাতালে যেতে সুচিত্রা একমাত্র ভরসা স্বামীর মোটর সাইকেল। সেটাও রাস্তায় বের করতে দিচ্ছেন না প্রতিবেশীরা। একদিকে কাজের চাপ, অন্যদিকে পড়শিদের নির্মম ব্যবহারে মানসিকভাবে কার্যত ভেঙে পড়েছেন সুচিত্রা দেবী। 

Read More