নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল মাত্র ৭ বছরের এক শিশু ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। খুনের পেছন হাত রয়েছে শিশুটির মা ও তার এক সঙ্গীর। এমনটাই অভিযোগ উঠছে পরিবারের তরফে।
উত্তর দিনাজপুরের করনদিঘির(Karandighi) কামারতোর গ্রামে মায়ের সঙ্গে দাদুর বাড়িতে বেড়াতে যায় ৭ বছরের গোলাম সরোয়ার। তিন দিন আগে সেই বেড়াতে গিয়েই নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। শেষপর্যন্ত শুক্রবার করনদিঘির মেলার মাঠ সংলগ্ন একটি ইটভাটার পাশে একটি কবরস্থান থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত মৃতদেহ।
ঘটনার পরই পরিবারের তরফে একটি নিখোঁজ ডাইরি করা হয় পুলিসে। মায়ের পরকীয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতেই কি খুন ৭ বছরের সন্তান? খুন করেছে কে? মা নাকি সে তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়েই সরিয়ে দিয়েছে সরোয়ারকে?
আরও পড়ুন-রাতের কলকাতা! কাঁচ তুলে, দরজা লক করে ট্যাক্সিতে ২ মহিলার 'শ্লীলতাহানি'
ঘটনার তদন্তে নেমেই পুলিস মহম্মদ মেকাইল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই শুক্রবার রাতে সরোয়ারের মৃতদেহের হদিশ পাওয়া যায়। মৃতদেহের একাধিক জায়গায় ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এমনটাও মনে করা হচ্ছে, শ্বাস রোধ করে খুন করে ওই শিশুটিকে কবরস্থানের ঝোপে ফেলে দেওয়া হয়। কোনও বন্য জন্তু দেহ খুবলে খাওয়াতেই দেহে ক্ষত হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির মা ও অন্য একজনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, মেকাইলের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল শিশুটির মায়ের। তাই পথে কাঁটা সরাতেই এই খুন।