ভবানন্দ সিংহ: সামান্য বচসা থেকে চলল গুলি। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে শুক্রবার রাতের ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মহম্মদ আরিফ নামে ১ যুবক। গুলিবিদ্ধ ৩ জন। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে গোলমালের সূত্রপাত। ওই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে গ্রামপ্রধান ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীদের একাংশের দাবি, যাদের পুলিস ধরেছে তারা আসলে দোষী নন। আসল দোষীরা এখনও অধরা।
আরও পড়ুন-ভূমিকম্পের গ্রাসে মাত্র ৩১ বছরে থামলেন ক্রিশ্চিয়ান আতসু
ওই ঘটনায় গোয়ালপোখর থানার সামনে মৃত আরিফের দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান হাজার খানেক মানুষ। তাঁদের দাবি, দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। শুক্রবার রাতে গোয়ালপোখর থানার মদিনা চক এলাকার ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক মহিলাও। কোনও কোনও মহল থেকে দাবি উঠছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই ওই ঘটনা। তবে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী গোলাম রব্বানী তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উড়িয়ে দিয়েছে।
শনিবার মহম্মদ আরিফের মৃতদেহ নিয়ে গোয়ালপোখর থানায় প্রবল বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। পরিস্থিতি বিস্ফোরক আকার ধারন করে। শেষপর্যন্ত পুলিস বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে মৃতদেহ দাফন করতে রাজী করে।
ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রথমে সরব হওয়া উচিত। প্রায় ৬ মাস হতে চলল, তিনি বলেছিলেন বোমা-বন্দুক উদ্ধার করতে। কত বন্দুক উদ্ধার হয়েছে? পুলিস করছেটা কী? যে মারা গিয়েছে সে তো তৃণমূলই করতো। এরাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাও নিরাপদ নয়। এরাজ্যে শুধু একটা পরিবার সুরক্ষিত।
এদিকে, এনিয়ে মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, এরাজ্য অনেক কম অশান্তি হয়েছে। অন্যরাজ্যে হলে অনেক বেশি হতো। বিচ্ছিন্ন যেসব ঘটনা ঘটছে তা যাতে না হয় তার জন্য তৃণণূল কংগ্রেস ও সরকার কড়া নজর রাখছে।