আপনি পা ভেঙেছেন। জঙ্গলমহলের মানুষ গণতান্ত্রিকভাবে আপনাদের মাজা ভাঙবে। বহিরাগতদের নেই ঠাঁই। বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। জয় বাংলা। জয় হিন্দ।
বিজেপি নেতারা সভা করতে আসছেন। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা আসছেন। চ্যালেঞ্জ করছি ২ মিনিট বাংলায় কথা বলে দেখান। আমি ১ ঘণ্টায় ইংরেজি কথা বলব। আপনি বলবে অসম যাব, হরিয়ানা যাব, দিল্লি যাব, মধ্যপ্রদেশ যাব। যে প্রান্তে দাঁড় করিয়ে হিন্দি বলাবেন, আমি কাগজ ছাড়া বলব। আপনারা অভিজ্ঞ নেতা বাংলায় ২ মিনিট বলতে পারবেন না! কোনও কাগজ ছাড়া ২ মিনিট বলতে হবে। সোনার বাংলা বলতে পারছে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিণ্ডি চটকে দিয়েছে। কবিগুরু আমাদের মাঝে থাকলে লজ্জায় মাথা লুকানোর জায়গা পেত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার লড়াই নয়। বহিরাগতদের বিতাড়নের লড়াই।
কোন চ্যানেলে বসবেন পরিসংখ্যান ও উন্নয়নের নিরিখে লড়াই হবে। আপনার চ্যানেল আপনার সঞ্চালক হবে। ১০-০ গোলে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।
৭৫ হাজার কোটি টাকা বছরে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আর বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে।
আমার গলা কেটে দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বেরোবে। তোমার এজেন্সি কাঁচকলা করেছে। আগামী দিনেও কাঁচকলা করবে। বাংলার মানসম্মান বিক্রি হতে দেব না। যা করার করে নাও। আমার জেদ বহিরাগতদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করব। ২ তারিখ ফল বেরোবে বাংলার মানুষ দেখিয়ে দেবে। ২ তারিখ পদ্মফুল চোখে সর্ষেফুল দেখবে। ভাবছে পয়সা দিয়ে নির্বাচন করব। পয়সা দিলে নিয়ে নেবেন।
৩৪ বছর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত প্রতিটা হাড় ভেঙেছে। তুমি তো কোন ছার। মোদীজি বলেছেন না খেলা হবে না উন্নয়ন হবে। ৭ বছরে তোমার রিপোর্টকার্ড কোথায় মোদীবাবু? আমার দিদি তো রিপোর্টকার্ড দিয়েছে। উন্নয়নের হিসাব কোথায়? বলছে, উন্নয়ন হবে। বিজেপির উন্নয়ন কৃষক আত্মহত্যা আর নাবালিকা গণধর্ষণ। বিজেপির উন্নয়ন দলিত, এসসি, এসটি-কে শোষণ। একদিনে বড় বড় ভাষণ, আর একদিকে বিনা পয়সায় রেশন। একদিকে বাংলার মেয়ে আর একদিকে বহিরাগত- কোনটা বাছবেন সিদ্ধান্ত আপনার।
কোভিডকালে বিজেপি সাংসদ কুনর হেমব্রমকে পাশে পেয়েছেন?
খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন বিনা পয়সায়।
দিলীপ ঘোষের বাড়ির লোক করছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। পুরুলিয়া সাংসদের পরিবার করেছে। পাকা বাড়ি, স্মার্টফোন, ফ্রিজ থাকলে আয়ুষ্মান ভারত পাবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যসাথী থেকে ছোট থেকে বড়, শ্রমিক-কৃষক, কোচবিহার থেকে জঙ্গলমহল- সকলে পাবেন। বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য।
এবার দুয়ারে রেশন। আর রেশন দোকানে লাইন দিতে হবে।
ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামের ভাষণ শুরু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Thank you