প্রদ্যুৎ দাস: সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করল এক স্কুল ছাত্রী। নিজের মৃত্যুর জন্য এক বান্ধবী ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করল সে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ৭৩ মোর সংলগ্ন দেবনগর এলাকায়। সুসাইট নোটে লিখে আত্মহত্যা করল ১৩ বছরের কিশোরী। এদিন তাকে ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবার। ঘটনায় পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত প্রশাসনের।
আরও পড়ুন, Weather Today: উপকূলে ঢুকে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মান্দাস, জারি রেড অ্যালার্ট! বাংলায় কতটা প্রভাব?
শুক্রবার রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের ঘরেই আত্মহত্যা করে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রেয়া ঘোষ। মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটে মৃত্যুর কারণও লিখে রেখে যায় সে। মৃত শ্রেয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, কিছুদিন আগে পরীক্ষার সময় তাকে নকল করার সন্দেহে অভিভাবকদের ডেকে পাঠিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই মান- সম্মানের ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে শ্রেয়া।
অভিযোগ, ঘটনার পর থেকেই শ্রেয়া বারবার বলছিল স্কুলে আমি নকল করিনি। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ তা মানতে নারাজ ছিল। পরিবারের দাবি, স্কুলের এক বান্ধবী ও শিক্ষকের অবিবেচিত মন্তব্যের কারণে প্রাণ গেল ১৪ বছরের কিশোরী শ্রেয়া ঘোষের। আত্মহত্যার আগে চিঠিতে লিখে রেখে যায়, ''আমার মৃত্যুর কারণ স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং আমার প্রিয় বান্ধবী। ওই বান্ধবী নিজের স্বার্থে আমার আমার জীবনটাকে শেষ করে দিল। এখন আর কিভাবে মুখ দেখাবো স্কুলে। তাই এই জীবন রাখার চেয়ে না রাখাই ভালো।'' এমনই কথা চিঠিতে লিখে রেখে ঘরের সিলিং ফ্যানের মধ্যে ঝুলে আত্মঘাতী হয় শ্রেয়া। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকা জুড়ে।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে পরীক্ষার হলে তাকে নকল করার সন্দেহে শ্রেয়া ঘোষের অভিভাবকদের স্কুল ডাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারপরই পরিবারের মানসম্মানের ভয়ে প্রাণ দিয়ে সত্যি মিথ্যের প্রমাণ দিল বলে অভিযোগ পরিবারের। তাদের দাবি, তাদের মেয়ে বারবার বলেছিল য়ে নকল করেনি। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তা মানতে নারাজ। একপক্ষ হিসেবেই বিবেচনা করে গিয়েছে। সেই কারণে প্রাণ গেল তরতাজা ১৪ বছরের কিশোরীর। পুরো ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস। শনিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের করা হবে জলপাইগুড়ি হাসপাতালের মর্গে।
আরও পড়ুন, পুলিসের উর্দি পরেই তৃণমূলের মঞ্চে, অন-ডিউটি সংবর্ধনা! তুঙ্গে বিতর্ক