ওয়েব ডেস্ক: সর্বগ্রাসী আগুন। কয়েক সেকেন্ডে সব নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। অগ্নিদানবের সঙ্গে যুঝতে চাই দমকলের উন্নত পরিকাঠামো। BT রোডে রয়েছে চার-চারটি ফায়ার স্টেশন। নিউ ব্যারাকপুরে নতুন আরও একটি খোলার প্ল্যান চলছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, পরিকাঠামো আদৌ আছে কি?
আগুন থেকে উদ্ধারের যারা একমাত্র পথ, রাজ্যে তাদের অবস্থাই শোচনীয়। BT রোডে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে চার-চারখানা দমকল কেন্দ্র। কেমন অবস্থা সেখানে? কামারহাটি দমকলকেন্দ্রে উপকরণ বলতে রয়েছে দুটি ওয়াটার টেন্ডার, একটি ওয়াটার কেরিয়ার। পোর্টেবল পাম্প, মিড সাইজ ওয়াটার টেন্ডার,ওয়াটার বাউজার, পোর্টেবল পাম্প, ট্রেলার পাম্প- কিছুই নেই।
পানিহাটি দমকল কেন্দ্রে উপকরণ বলতে শুধুই একটি ওয়াটার টেন্ডার। আর কিচ্ছু নেই এখানে। উত্তর ব্যারাকপুর দমকল কেন্দ্রে রয়েছে, দুটি ওয়াটার টেন্ডার ও একটি পোর্টেবল পাম্প। মিড সাইজ ওয়াটার টেন্ডার কিংবা ওয়াটার কেরিয়ার বা ওয়াটার বাউজার- কোনওকিছুরই নামগন্ধ নেই।
বাকিগুলির তুলনায় লালকুঠি দমকল কেন্দ্রে ওয়াটার টেন্ডার রয়েছে দুটি, পোর্টেবল পাম্প একটি, মিড সাইজ ওয়াটার টেন্ডারও একটি। ওয়াটার কেরিয়ার নেই। ওয়াটার বাউজার, পোর্টেবল পাম্প ও ট্রেলার পাম্প রয়েছে একটি করে। এমনই বেহাল দশা।
দমকলের নিয়ম বলছে, প্রতিটি ব্লক স্তরে দমকল কেন্দ্র উদ্বোধন করা যেতেই পারে। কিন্তু সেজন্য যে পরিকাঠামো দরকার, তা কোথায়? বেলঘরিয়া, টিটাগড় থেকে আড়িয়াদহের মতো ঘিঞ্জি এলাকা।ঘন জনবসতিপূর্ণ। অসংখ্য কলকারখানা। বড়সড় আগুন লাগলে, সামলাতে ঘাম ছুটে যায় দমকলের। সরু রাস্তায় বড় ওয়াটার টেন্ডার ঢোকা সমস্যা। দরকার মিড সাইজ ওয়াটার টেন্ডার। অথচ গোটা বিটি রোড জুড়ে চারখানা ফায়ার স্টেশন থাকলেও, মিড সাইজ ওয়াটার টেন্ডার রয়েছে মাত্র একটি। তাও লালকুঠি দমকলকেন্দ্রে।
আধুনিক, উন্নত পরিকাঠামোর নাম নেই। যে চারটি রয়েছে, তা ধুঁকছে। তারওপর আবার নিউ ব্যারাকপুরে আরও একটি দমকল কেন্দ্র খোলার ভাবনা। পরিকাঠামো ছাড়া পরিকল্পনা, কতটা যুক্তিযুক্ত? এ প্রশ্ন উঠছে দমকলের অন্দরেই।