বিক্রম দাস, পিয়ালি মিত্র ও শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: ডায়মন্ড সিটির পর বেলঘড়িয়া। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) রথতলার ক্লাব টাউনের ফ্ল্যাটে এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে ৩০ কোটিরও বেশি নগদ টাকা! টাকা গুনতে ব্যাংক থেকে এক বিপুল ধরনের মেশিন আনা হয়েছে। যাতে একবারে অনেকটা পরিমাণ টাকা গোনা সম্ভব হয়। মিলেছে গয়না, সোনার বার এবং জমির দলিলও।
বুধবার সকালে রথতলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ক্লাব টাউনের ফ্ল্যাটে যায় ইডি (ED)। তালাবন্ধ ফ্ল্যাট। তালা ভেঙে ফ্ল্যাটের অন্দরে ঢোকেন তদন্তকারী আধিকারীকরা। সঙ্গে যায় সেনাবাহিনী। বিকেলের দিকে আবাসনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। সঙ্গে ইডির আধিকারীকদের আরও বেশ কয়েকটি গাড়িও সেখানে যায়। এছাড়া বেলঘড়িয়ার নবাব আব্দুল লতিফ স্ট্রিটে দেওয়ান পাড়ায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়িতেও যান ইডির তদন্তকারীরা। তিনটে গাড়ি নিয়ে ওই বাড়িতে যান তাঁরা। প্রথমে ধৃতের মায়ের সঙ্গে আধিকারীকদের কথা কাটাকাটি হয়। তিনি ইডিকে ঢুকতে দিতে চাননি। পরে মহিলাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন আধিকারীকরা। এরপর অফিসারদের ভিতরে ঢুকতে দেন মহিলা।
প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই বিকেলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে উদ্বার হয় বিপুল অঙ্কের টাকা, গয়না, মোবাইল এবং বৈদেশিক মুদ্রা। পরের দিন গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। সোমবার কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালত, পার্থ এবং অর্পিতাকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ অর্পিতাকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছন ইডির অফিসাররা। রাতে ইডি দফতরের একটি রুমেই অর্পিতাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার রাতে অবশ্য পার্থর কলকাতা ফেরা হয়নি। তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে রাত কাটাতে হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। রাজ্যের মন্ত্রীকেও কোনও থানার লকআপে না রেখে, সিজিও কমপ্লেক্সের আট তলায় আলাদা রুমে (অস্থায়ী “লকআপ”) রাখা হয়।