নারায়ণ সিংহ রায়: গজলডোবা যাওয়ার পথে ব্রিজে ফাটল। রাজ্যসড়কের এই ব্রিজের একাংশ বসে গিয়েছে। নজরে আসে এলাকাবাসীদের। এরপরই শোরগোল শুরু হয়ে যায় ব্রিজের ফাটলকে কেন্দ্র করে। আমবাড়ির পারোমুন্ডা করোতোয়া ব্রিজে গাজলডোবা ও শিলিগুড়ির মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতু৷ গজলডোবা বা ভোরের আলোকে কেন্দ্র করে রাজ্যের পক্ষ থেকে সাহুডাঙ্গি পেরিয়েই উড়াল সেতু তৈরি করা হয়। একদিকে শিলিগুড়ি ও অন্যদিকে ফুলবাড়ি থেকে সেই উড়ালসেতু পেরিয়ে পারোমুন্ডা করোতোয়া সেতু পেরিয়ে যেতে হয় গাজলডোবা। তবে আপাতত ব্রিজের সামনের অংশের মাঝ বরাবর ফাটলের কারণে যান চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- 'রোনাল্ডো নয় মেসিই সেরার সেরা', স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিদ্যুতগতির উসেইন বোল্ট
ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে ছুটে আসেন আমবাড়ি থানার পুলিস ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। ব্রিজের আপাদমস্তক পরিদর্শন করে পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অজিত সাহা জানান , "ওভারলোডের গাড়ি যাওয়ার কারনেই ব্রিজের এই হাল। বন্ধ করে নতুনভাবে কাজ করতে হবে। নতুন করে এস্টিমেট করে ভেঙে তবে পুনরায় কাজ চালু করতে হবে। ব্রিজের কাজ কবে থেকে শুরু হবে তা এখনই নিশ্চিত নয়। ব্রিজের গাড়ি চলাচলের মতো পরিস্থিতি নেই। ব্রিজ মাঝখান থেকে ফেটে ভেঙে গেছে। লোড ক্যাপাসিটি ফেল করে গেছে। অনেক পুরোনো ব্রিজ৷ ইরিগেশন দফতরের তৈরি ব্রিজ সেই সময়কার লোড ক্যাপাসিটির কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছিল।"
রাজ্যের তৈরি ফ্লাইওভার তৈরির পর গজলডোবা যাতায়াত অনেক সুবিধে হয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটকদের কাছে। যানজট পেরিয়ে খুব সহজেই অরণ্যের মাঝখান দিয়ে পৌঁছে যাওয়া যেত। তবে এই মুহুর্তে তা সম্পুর্নভাবে বন্ধ। এক কথায় নতুন ফ্লাই ওভারের কোন ভুমিকাই এই মুহুর্তে নেই। পুরোনো রাস্তা ধরে প্রায় দশ থেকে বারো কিলোমিটার ঘুর পথে এখন পৌঁছতে হবে গাজলডোবায়।