Home> রাজ্য
Advertisement

Anubrata Mondal: 'শুনুন...শুনুন...অনুব্রত জেলে, এবার নিশ্চিন্তে গোরু বাইরে ছাড়ুন', শহরে ঢেঁড়া পেটাল বামেরা

ময়দানে নামে চন্দ্রকোণা সিপিআইএম এরিয়া কমিটি ও তার যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। কার্যত ঢেঁড়া পেটানোর সুরে তাঁদের বলতে শোনা যায়, "শুনুন... শুনুন... গোরু চুরির দায়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ধরা পড়ে জেলে গিয়েছেন। এবার আপনারা নিশ্চিন্তে গোরু বাইরে ছাড়তে পারেন। আর কোনও ভয় নেই।" একই সঙ্গে শহরে মিছিল করে নকুলদানা, গুড়-বাতাসাও বিলি করেন বাম কর্মীরা। সিপিআইএমের এই অভিনব মিছিল দেখতে রাস্তার ধারে উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা যায়।

Anubrata Mondal: 'শুনুন...শুনুন...অনুব্রত জেলে, এবার নিশ্চিন্তে গোরু বাইরে ছাড়ুন', শহরে ঢেঁড়া পেটাল বামেরা

চম্পক দত্ত: গোরুপাচার মামলায় (Cattle/Cow Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal/ Anubrata Mondal) পাকড়াও হতেই বিরোধী শিবিরে খুশির হাওয়া। কেউ দিকে দিকে গুড়-বাতাসা, নকুলদানা বিলি করছে, তো কেউ চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজাচ্ছে। আরও অভিনব ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা শহরে। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি গ্রেফতার হতেই সেখানে ঢেঁড়া পেটালেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। বৃহস্পতিবারের বারবেলা এই ছবি দেখে হাসির রোল শহরের মানুষের মধ্যে। কেউ প্রকাশ্যে কটাক্ষ করলেন, কেউ বা একটু আড়ালে।    

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িয়ে পৌঁছে যান সিবিআই-এর আইনজীবীরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে পুরো বাড়ি আধাসেনা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর ভিতরে ঢোকেন অফিসাররা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। একই সঙ্গে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেননি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। তাঁকে গ্রেফতারি পরোয়ানায় সই করতে বললেও তিনি রাজি হননি। তখনই তাঁকে আটক করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর বিকেলে সরকারি ভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ময়দানে নামে চন্দ্রকোণা সিপিআইএম এরিয়া কমিটি ও তার যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। কার্যত ঢেঁড়া পেটানোর সুরে তাঁদের বলতে শোনা যায়, "শুনুন... শুনুন... গোরু চুরির দায়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ধরা পড়ে জেলে গিয়েছেন। এবার আপনারা নিশ্চিন্তে গোরু বাইরে ছাড়তে পারেন। আর কোনও ভয় নেই।" একই সঙ্গে শহরে মিছিল করে নকুলদানা, গুড়-বাতাসাও বিলি করেন বাম কর্মীরা। সিপিআইএমের এই অভিনব মিছিল দেখতে রাস্তার ধারে উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা যায়।

বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী ধৃত জেলা তৃণমূল সভাপতিকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠান। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশ, কোনও কারণে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন পড়লে, অনুব্রতকে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে দেখাতে হবে। ওই সময় তাঁর দু'জন আইনজীবীকে সঙ্গে রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে বেজে দশ মিনিট নাগাদ বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ধারা এবং আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের ৭,১০,১১ এবং ১২ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। 

এদিন আসালসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে পেশ করা হয়। লিফ্টে করে চারতলায় ওঠেন 'কেষ্টদা'। চারতলায় উঠে তিনি হাঁপাতে থাকেন। এরপর আদালতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত সূত্রে খর, অনুব্রত মণ্ডলের কাছেই তাঁর শরীরিক অবস্থার কথা জানতে চান বিচারপতি। দাঁড়িয়ে উত্তর দিতে কষ্ট হওয়ায় তাঁকে বসেই কথা বলতে বলেন বিচারপতি। উত্তরে অনুব্রত মণ্ডল জানান, তাঁর শ্বাসকষ্ট রয়েছে। বুকে ব্লকেজ, ব্যথা রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ, ফিসচুলা, কিডনির সমস্যা এবং পা ফুলে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

Read More