নিজস্ব প্রতিবেদন: উপাচার্যের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সেরে ফেলেছেন জেলাশাসক। যাবতীয় বিতর্কে ইতি টানতে এবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের (Visva Bharati) সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে জেলা প্রশাসন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই বৈঠক হবে।
উল্লেখ্য, স্রেফ রাস্তা ফেরত নেওয়াই নয়, বিভিন্ন ইস্যুতে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) সঙ্গে রাজ্যে সংঘাত এখন চরমে। বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে বিশ্বভারতীকে দেওয়া কালিসায়ের মোড় থেকে উপাসনা মন্দির পর্যন্ত রাস্তাটি ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এরপরই পাল্টা আসরে নামে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের সামনে দিয়ে যে রাস্তা ছিল, সেই রাস্তাটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু হয়। ফলে অসুবিধায় পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেন? এলাকার মানুষের দাবি, শহরের চিত্রা মোড়, লালপুল এলাকার যানজট এড়িয়ে ওই রাস্তা দিয়ে দ্রুত শান্তিনিকেতন যাওয়া যেত। এই খবর Zee ২৪ ঘণ্টায় সম্প্রচারিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। ঘটনাস্থলে হাজির হন জেলাশাসক ও পুলিস সুপার। পাঁচিল তোলার কাজ বন্ধ করে দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: কেয়ারটেকারকে কুকর্মে সাহায্য, জোড়াবাগান কাণ্ডে ধৃত মার্বেল মিস্ত্রি
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ থেকে কালিসায়ের মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি অধিগ্রহণ করে নিয়েছে পুরসভা। উপসনা গৃহের সামনে বসে দেওয়া হয়েছে বোর্ডও। এবার কি তাহলে কড়া অবস্থান থেকে সরছে প্রশাসন? বীরভূমের জেলাশাসক বিজয় ভারতী নিজেই জানালেন, 'বিশ্বভারতীর সঙ্গে আলাদা মিটিং করব। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা হয়েছে। যে রাস্তা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করে যাচ্ছে, সেই রাস্তা বন্ধ করা যায় কিনা, তা নিয়েই আলোচনা করব'।