নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডবে তছনছ হয়েছিল রাজ্যের এক বিরাট অংশ। সেই ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতে প্রলেপ দিতে সরকারি সাহায্য পেয়েছিলেন কিছু মানুষ। এবার ক্ষতিপূরণের সেই টাকা ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠাল প্রশাশন। আজব সেই নোটিস তাজ্জব ক্ষতিপূরণ প্রাপকরা। এমনটি সরকারি নোটিস পেয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ব্লকের ভাদুতলার ভুঁইয়াপাড়ায়।
২০২০ সালের মে মাসের ওই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণি ঝড়ে বাড়ি ভেঙে পড়েছিল গ্রামের বাসিন্দা কমলা ভুঁইয়া, চণ্ডী ভুঁইয়া, শম্ভু মাহাত-সহ গ্রামের ৫ পরিবার। সরকারি ক্ষতিপূরণ হিসেবে একবার এসেছিল ৫ হাজার টাকা। পরে আসে আরও ৫ হাজার। সেই টাকা পেয়ে তারা ঘর মেরামত করেন। কেউ কেউ দারিদ্রের কারণে সেই টাকা খরচও করে ফেলেছেন।
এদিকে, গত ৩-৪ দিন আগে শালবনী বিডিও-র তরফে কর্ণগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্য়মে নেটিস আগে ওইসব ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের কাছে। জানানো হয়েছে, ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ হাজার টাকার বদলে দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকা। অতিরিক্ত সেই ৫ হাজার টাকা দ্রুত ফেরত দিতে হবে।
ভুঁইয়াপাড়ার চণ্ডী ভুঁইয়া, কমলা ভুঁইয়ারা জানান, যে টাকা পেয়েছিলাম দুবছর আগে। সেই টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এতদিনে সেই টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এখন টাকা পাব কোথায়? টাকা দিতে পারব না জানিয়ে দিয়েছি।
এনিয়ে কর্নগড় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রতাপ জাসুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সরকারি ভাবে টাকা প্রদানের সময় হয়তো ভুলবশত ওইসব ব্যক্তিদের একাউন্টে ডবল টাকা চলে গেছে। তাই ব্লক প্রশাসনের তরফে টাকা ফেরৎ চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তবে তাঁরা দরিদ্র হওয়ায় একবারে নাহলে, দুবারে টাকাটি ফেরৎ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় ঐ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। তবে টাকা ফেরত দিলে ওরাই আগামীদিনে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবে। এবিষয়ে শালবনির জয়েন্ট বিডিও দেবব্রত কোঙার জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রশাসন ভেবে দেখছে।
আরও পড়ুন-শান্তিনিকেতন, পিংলা সহ রাজ্যে ৫ ধর্ষণ মামলায় CBI তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা