নিজস্ব প্রতিবেদন: ঝালদাকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার। ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েছিলেন। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো দীপককে গ্রেফতার করল পুলিস।
পুরুলিয়া ঝালদা পুরসভা এবার ত্রিশঙ্কু। ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসে টিকিটে জিতেছিলেন তপন কান্দু। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরকে কারা খুন করল? ঝালদা থানার আইসির বিরুদ্ধে পুলিস সুপারকে চিঠি দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, পুরনির্বাচন ঘোষণার পর থেকে নাকি তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য দিচ্ছিলেন আইসি! এমনকী, এই অভিযোগের স্বপক্ষে একটি অডিয়ো ক্লিপও প্রকাশ করেছেন নিহত কাউন্সিলরের ভাইপো মিঠুন কান্দু। যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: Murder: বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীর 'গোপন ঘনিষ্ঠ' সম্পর্ক? সন্দেহ ডেকে আনল চরম পরিণতি
ঝালদাকাণ্ডের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে সংসদেও। দলের কাউন্সিলর তাপন কান্দু হত্যাকাণ্ড নিয়ে এদিন লোকসভা সরব হন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, সাংসদ অধীর চৌধুরী। আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন তিনি। টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান সোনিয়া গান্ধীও। পাল্টা স্লোগান দেন তৃণমূল সাংসদরা।
পুরভোটে ঝালদার ২ নম্বর তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন তপন কান্দুর ভাইপো দীপক। কাকার কাছে অবশ্য হেরে যান তিনি। ঘটনার পর দীপককে ম্যারাথন জেরা করে পুলিস। অবশেষে গ্রেফতার করা হল নিহত কাউন্সিলরের ভাইপোকে। এমনকী, তাঁর বাবা-ও খুনের সঙ্গে জড়িত কিনা, তা তদন্তসাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার পুলিস সুপার।