বিশ্বজিৎ মিত্র: শিশুর শরীরে করোনা সংক্রমণ, মৃত্যু! কীভাবে? নড়চড়ে বসল পুরসভা। স্রেফ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা নয়, স্যানিটাইজ করা হল এলাকা। বর্ধমানের পর এবার নদিয়ার কল্য়াণী।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগ করতেই গৃহবধূকে বাড়িছাড়া শাসকদলের! লিখিত অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীকে...
জানা গিয়েছে, ওই শিশুটির বয়স মাত্র ৭ মাস। বাড়ি, চাকদহের উত্তর ঘুগিয়া এলাকায়। প্রথমে তাকে ভর্তি করা হয় চাকদহ হাসপাতালে। এরপর যখন শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়, তখন ওই শিশুটিকে স্থানান্তরিত করা হয় কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই নানা অসুখে ভুগছিল শিশুটি। এর আগে কলকাতায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে। তাহলে কেন ফের অসুস্থতা? কোভিড টেস্ট করা হয়। রিপোট পজিটিভি আসে। শেষপর্যন্ত ৩১ জুলাই, সোমবার মৃত্যু হয় শিশুটির। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যু কারণ হিসেবে অবশ্য পালমোনারি টিউবারক্লোসিসের কথাও উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কোভিডে এখনও প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। বস্তুত, কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও বেশ কয়েকজন। স্বাস্থ্যভবনের দাবি, 'আতঙ্কের কিছু নেই। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেই কোমর্বিডিটি ছিল'।
আরও পড়ুন: Weather Update: বাংলা থেকে 'সরে গেল' দুর্যোগের মেঘ, ফের তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রাজ্যে?
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) ঘোষণা করে, 'কোভিড ১৯ আর ‘আপৎকালীন স্বাস্থ্য বিপর্যয়’ নয়'। দাবি করা হয়, 'মূলত টিকারণের জন্যই কোভিডকে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে যেখানে বিশ্বে প্রতি ১ লক্ষ মানুষ কোভিডে প্রাণ হারাতেন, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সেই সংখ্যাটা নেমে এসেছে মাত্র ৩৫০০-তে। এরপর কোভিড ১৯-এর অস্তিত্ব থাকলেও ভয়াবহ কিছু হওয়ার আশঙ্কা নেই'।