সোমা মাইতি: সরকারি হাসপাতালে কেন টাকা দিয়ে রক্ত কিনতে হবে? অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে পড়লেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। চলল বেধড়ত মারধর। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের পর এবার দালালচক্রের পর্দাফাঁস মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে দালালচক্র অভিযোগে উঠেছে আগেও। হাসপাতালে কতদিন ধরে রক্ত বিক্রি করা হচ্ছে? এই চক্রের মূলপাণ্ডা কে? অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই যুবকের পরিচয় অবশ্য জানা যায়নি এখনও। তাঁর গতিবিধি জানার জন্য হাসপাতালে সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন:
কীভাবে ধরা পড়ল ওই যুবক? মুর্শিদাবাদের মেডিক্যাল কলেজে ব্লাড ব্যাঙ্কে তখন রক্ত ছিল না। অভিযোগ, গতকাল বুধবার রাতে রক্ত জোগাড় করার আশ্বাস দিয়ে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নেয় ওই যুবক। কিন্তু রক্ত এনে দিতে পারেনি সে! এরপর এদিন সকালে হাসপাতালে ব্লাড ব্য়াঙ্কের কাছেই তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। শুরু হয় বেধড়ক মারধর।
এদিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেও রমরমিয়ে চলছে দালালচক্র। স্ট্রেচারের জন্য টাকা দিতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের। রেট কখনও ৫০ টাকা তো কখনও আবার ১০০ টাকা। জি ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি।