নিজস্ব প্রতিবেদন: জলপাইগুড়িতে নাবালিকাকে অশ্লীল মেসেজকাণ্ডে রাজনীতির ছোঁয়া! নিজেকে আরএসপি-র জেলা কমিটির সদস্য বলে দাবি করলেন অভিযুক্ত সুব্রত গুপ্ত। তাঁর অভিযোগ, 'শাসকদলের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সেকারণেই পুরভোটের আগে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হল'। সঙ্গে প্রশ্ন, '৬ বছর ধরে মেয়েটা বাড়িতে যাতায়াত করে। মেয়ে ও তার বান্ধবী দু'জনেই আমার মোবাইল ফোনও ব্যবহার করত। তাহলে আগে কেন অভিযোগ ওঠেনি'?
ঘটনাটি ঠিক কী? পুলিস সূত্রে খবর, ময়নাগুড়ির উত্তর মাধবডাঙা এলাকার বাসিন্দা সুব্রত গুপ্ত। অভিযোগ, মেয়ের সহপাঠী, এক নাবালিকাকে ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ম্যাসেজ পাঠাতেন তিনি। সঙ্গে অশ্লীল ছবিও! ওই নাবালিকার দাবি, বহুবার বারণ করা সত্ত্বেও শোনেননি সুব্রত। প্রায় এক মাস ধরে 'কুকীর্তি' চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Online Shopping: অনলাইন শপিংয়ের রিফান্ডের ২২ লাখ আত্মসাৎ, জালে ক্যাশিয়ার
তারপর? শেষপর্যন্ত মানসিক চাপ আর সহ্য করতে পারেনি ওই নাবালিকা। মঙ্গলবার মা-কে গোটা ঘটনাটি খুলে বসে সে। এরপর দাদা-সহ পরিবারের লোকেরা জন্য অভিযুক্তের বাড়িতে যান, তখন সুব্রত গুপ্ত ও তাঁর শ্যালক বিশ্বজিৎ ভৌমিক তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ দায়ের করা হয় ময়নাগুড়ি থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই জামাইবাবু ও শ্যালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পকসো আইনে মামলা রজু করা হয়েছে। ধৃতদের আপাতত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।