জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিন তেন্ডুলকর (Sourav Ganguly and Sachin Tendulkar) 'গড অফ ক্রিকেট' এবং 'গড অফ অফসাইড'। এই দুই কিংবদন্তির সম্পর্ক শুধু বাইশ গজেই সীমাবদ্ধ নয়। দেখতে গেলে পারিবারিক সম্পর্কেও আবদ্ধ তাঁরা। সচিন তেন্ডুলকর ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে ইন্দোরে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেট ক্যাম্পে। বাকিটা ইতিহাস। ১৯৯২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জুটি বেঁধে বাইশ গজে সর্বোচ্চ রানের (৮২২৭) পার্টনারশিপ গড়েছেন তাঁরা। এই দু'জন মিলেই ভারতীয় ক্রিকেটের মানচিত্রটাই বদলে দিয়েছেন। আজও সচিন-সৌরভের একে-অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান অন্য পর্যায়ের। ২৪ এপ্রিল, জীবনের বাইশ গজে 'ক্রিকেট ঈশ্বর' করলেন হাফ-সেঞ্চুরি। এক বছর আগে সৌরভে পা দিয়েছিলেন পঞ্চাশে। সৌরভ সোমবার ইনস্টাগ্রামে তাঁর ও সচিনের তিনটি ছবি পোস্ট করে সচিনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন, সৌরভ লেখেন, 'শুভ ৫০। সুস্থ থাকো। জীবনে ভরে উঠুক খুশিতে। শেষে ওটাই বলব, যা সবাই বলে, হোয়াট আ প্লেয়ার'। এই মুহূর্তে সচিন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) মেন্টর। অন্যদিকে সৌরভ দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট। সৌরভ ও দিল্লির হেড কোচ রিকি পন্টিং (Ricky Ponting) সচিনকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। পাশাপাশি ভাগ করে নিয়েছেন ক্রিকেট কেরিয়ায়ের স্মৃতি।
সৌরভ-সচিনের আলাপচারিতার ৩৬ বছর কেট গেল। তবে বন্ধুত্ব এখনও অটুট। গতবছর মহারাজ তাঁর প্রাক জন্মদিন সেলিব্রেট করেছেন লন্ডনে। মতো তিনিও বন্ধুর প্রি-বার্থ ডে সেলিব্রেশনে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী অঞ্জলির সঙ্গে ছিলেন সচিনও। সৌরভের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন সচিন। শুরু করেছিলেন ১৯৮৯ সালে। সেখানে সৌরভ ১৯৯২ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক ঘটালেও, ১৯৯৬ সালে লর্ডসে অভিষেক টেস্টে শতরানের পর বিশেষ পরিচিতি পেয়েছিলেন। সৌরভকে সবাই বলেন 'দাদা'। তবে সৌরভকে একমাত্র সচিনই ডাকেন 'দাদি' বলে। গতবছর সচিন একদম ঝকঝকে বাংলায় সচিনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন। সচিন লিখেছিলেন, 'জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা, দাদি।' লেখার সঙ্গেই সচিন ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন । সেখানে তিনি বলেন, 'হ্যাপি বার্থডে দাদি। কেমন আছ? ভাল আছ? সবাই ভাবে যে, দাদাকে কেন দাদি বলি! একটা জিনিস পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলতে চাই যে, আমাদের তখন ১৩ বছর বয়স ছিল। ইন্দোরের ক্যাম্পে দেখা হয়েছিল। মাসখানেক এক সঙ্গে ছিলাম। ওই সময় থেকেই আমি দাদাকে দাদি বলি। ইতিমধ্যেই ৫০ হয়ে গেল বন্ধু। কেমন লাগছে? আমিও ধীরে ধীরে তোমার পিছু পিছু আসছি। তোমার ও তোমার পরিবারের জন্য অনেক শুভকামনা রইল। টেক কেয়ার বাডি। নিজের যত্ন নিও।'