জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) শুরু হওয়ার আগে একের পর এক চোট নিয়ে জর্জরিত ফ্রান্স (France)। এবার সবাইকে চমকে দিয়ে কাপ যুদ্ধ থেকে ছিটকে যেতে বাধ্য হলেন করিম বেঞ্জেমা (Karim Benzema)। বাম উরুর কোয়াড্রিসেপসে চোট লাগার জন্যই শেষ পর্যন্ত কাপ যুদ্ধের লড়াইয়ে মাঠে নামতে পারবেন না রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid) স্ট্রাইকার।
এনগোলো কান্তে (N'Golo Kante), পল পোগবার (Paul Pogba) মতো তারকারা আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। কাতারে পা রাখার পর চোটের পেয়ে ছিটকে যান ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্বেম্বে। এ বার দিদিয়ের দেশঁর চিন্তা বাড়িয়ে ছিটকে গেলেন এবারের ব্যালন ডি’ওর জয়ী বেঞ্জেমা। দলের প্রধান স্ট্রাইকার ছিটকে গেলে যে ফ্রান্স চাপে থাকবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
শনিবার সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলন করার সময় বাঁ-পায়ের উরুর পেশিতে চোট লাগে তাঁর। রাতের দিকে দোহার এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বেঞ্জেমাকে। সেখানেই পরীক্ষার পর খোড়াতে খোড়াতে হাসপাতাল ছাড়েন ফরাসি তারকা। ফ্রান্স দলের মেডিক্যাল দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বেঞ্জেমার রিপোর্ট একেবারেই ভালো নয়। মাসল টিয়ার হয়েছে তাঁর। সেইজন্য অন্তত তিন সপ্তাহের বিশ্রাম প্রয়োজন। ফলে বিশ্বকাপ খেলা তাঁর পক্ষে অসম্ভব।
Karim @Benzema has pulled out of the World Cup with a thigh injury.
— French Team (@FrenchTeam) November 19, 2022
The whole team shares Karim's disappointment and wishes him a speedy recovery#FiersdetreBleus pic.twitter.com/fclx9pFkGz
আরও পড়ুন: Manuel Neuer | #OneLove| LGBTQ+: সমপ্রেমীদের সঙ্গেই নয়্যার, রামধনু সাজ থাকবে জার্মান অধিনায়কেরও
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন বেঞ্জেমা। হতাশ ফরাসি তারকা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘জীবনে সবসময় লড়াই করে গিয়েছি। তবে এ বার কষ্ট হচ্ছে। দলের ভালোর জন্য বাধ্য হয়েই বিশ্বকাপ থেকে সরে গেলাম। আমার পরিবর্তে কেউ দলের সাফল্যে আবেদন রাখতে পারলে আমি খুশি হব।'
দিদিয়ের দেশঁ বলেন, 'করিমের জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত। কারণ ও আমাদের দলের স্তম্ভ। আমাদের জন্য যে বিশাল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, সেটা মোকাবিলা করার জন্য আমরা সব কিছু করব।'
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও বেঞ্জেমা আগে থেকেই চোটে ভুগছিলেন। এর সেই চোটের জন্যই এবার তাঁর বিশ্বকাপ অভিযান, শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল। গ্রুপ ডি-তে ২২ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কাপ যুদ্ধের অভিযান শুরু করবে ফ্রান্স। এরপর ২৬ নভেম্বর ডেনমার্ক এবং ৩০ নভেম্বর তিউনিসিয়ার মুখোমুখি হবে গতবারের বিশ্বজয়ী ফ্রান্স।