Home> খেলা
Advertisement

ইস্টবেঙ্গল-কিংফিশার সম্পর্কের ইতি

১৯৯৮ সালে বিজয় মালিয়ার হাত ধরে কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানে বড় অঙ্কের স্পনসরশিপ এসেছিল ময়দানে। সেই ধারা ছেদ করে নিঃশব্দেই ইস্ট-মোহন থেকে সরে গেল ইউবি গ্রুপ।

ইস্টবেঙ্গল-কিংফিশার সম্পর্কের ইতি

ওয়েব ডেস্ক : ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হল। এবার ইউবি গ্রুপ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ইস্টবেঙ্গল। ইউবি গ্রুপের সঙ্গ আগেই ত্যাগ করেছিল মোহনবাগান। এবার সেই পথেই পা বাড়াল ইস্টবেঙ্গল। ফলে ২০ বছর পর ইস্টবেঙ্গল নামের আগে  বাদ যাচ্ছে 'কিংফিশার'। সোমবারের বৈঠক শেষে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন লাল-হলুদ কর্তারা।

আরও পড়ুন- বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী 'যোদ্ধা'

১৯৯৮ সালে বিজয় মালিয়ার হাত ধরে কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানে বড় অঙ্কের স্পনসরশিপ এসেছিল ময়দানে। সেই ধারা ছেদ করে নিঃশব্দেই ইস্ট-মোহন থেকে সরে গেল ইউবি গ্রুপ। কয়েকদিন আগেই ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে ইউবি গ্রুপের বৈঠকে স্পনসররা জানিয়ে দেয়, কোনওমতেই টাকার অঙ্ক বাড়াবেন না তাঁরা। স্পনশরশিপ বাবদ বড়জোর মিলবে দেড় কোটি টাকা । লাল-হলুদ কর্তারা টাকার অঙ্ক বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করলেও অর্থাভাবে থাকা ইউবি গ্রুপ সে অনুরোধ শোনেনি। 

আরও পড়ুন- আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে অনিশ্চিত ঋদ্ধিমান !

সোমবার ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরী সমিতির সভায় কিংফিশার-এর সঙ্গ ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিবাদে না গিয়ে ফুটবল রাইটস ফিরিয়ে দিতেও রাজি হয়েছে ইউবি গ্রুপ। ফলে নতুন কোম্পানি তৈরি করতে কোনও সমস্যা হবে না বলেও জানিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার। দলের টাইটেল স্পনসর আর থাকছে না 'কিংফিশার'। তবে তারা কো-স্পনসর হিসেবে থাকতে পারে। পুরনো স্পনসরের সঙ্গে বিচ্ছেদ হতেই এবার নতুন স্পনসরের খোঁজ শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল। এমনিতেই ময়দানে অর্থাভাব প্রকট। ছোট ক্লাবগুলোর স্পনসর নেই। ইস্টবেঙ্গল থেকে কিংফিশার সরে যাওয়া নিঃসন্দেহে কলকাতার ফুটবলে আরও একটা বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন ময়দানের পণ্ডিতরা। 

Read More