জামশেদপুর এফসি: ২ (ডঞ্জেল, অ্যালেক্স)
এটিকে মোহনবাগান: ১ (প্রীতম)
নিজস্ব প্রতিবেদন: ডার্বি যুদ্ধে জেতার পর থেকে জিততে ভুলে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। গোল করতে ভুলে গিয়েছেন রয় কৃষ্ণা, হুগো বৌমসরা। সঙ্গে জঘন্য ডিফেন্স। এর ফলে গত ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ৫-১ ব্যবধানে উড়ে যাওয়ার পর সোমবার জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে হেরে গেল সবুজ-মেরুন। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও মূলত ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেই জোড়া হার হজম করতে হল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেদের। আর সেই সঙ্গে কঠিন হয়ে উঠছে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়।
খেলার শুরু থেকেই রয় কৃষ্ণাকে কড়া মার্কিংয়ে রাখে বিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। এরই মধ্যে ৩৭ মিনিটে গোল করে জামশেদপুরকে এগিয়ে দেন লেন ডংগেল। জিতেন্দ্র সিং-এর পাস থেকে দুরন্ত গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
এরপর একের পর এক সুযোগ পেলেও সেগুলো নষ্ট করেন রয়-হুগোরা। প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে জামশেদপুর।৭৫ মিনিটে হুগো বৌমাস বল নিয়ে লক্ষ্যে এগোচ্ছিলেন। পা দিয়ে মেরে তাঁকে ফেলে দেন প্রণয় হালদার। সেই রাগে উঠে প্রণয়কে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বৌমাস। এই নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। রেফারি অবশ্য দুই ফুটবলারকেই হলুদকার্ড দেখিয়েছেন।
৮৪ মিনিটে ফুটবলার বদল করেন জামশেদপুরের কোচ ওয়েন কোল। গ্রেগ স্টুয়ার্ডের জায়গায় নামলেন অ্যালেক্স। আর এখানেই খেলা ঘুরে গেল।৮৫ মিনিটেই গোল করে হাবাসের দলের উপর চাপ বাড়িয়ে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Virat Kohli-র Team India টেস্টের ‘ব্র্যান্ড আম্ব্যসাডার’, দাবি করলেন Ravi Shastri
৮৯ মিনিটে গোল শোধ করে এটিকে মোহনবাগান। আশুতোষ মেহেতার শট প্রীতম কোটালের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। তবে প্রীতম কোটাল অফসাইড ছিলেন। তবে ধারাভাষ্যকররা দাবি করছেন, প্রীতমের পায়ে বল লাগার আগেই গোললাইন ক্রস করে গিয়েছিল বল।
এই নিয়ে ৪ ম্যাচে ১০ গোল খেয়ে বসে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। প্রতি ম্যাচেই তিরি-র অভাব অনুভব হচ্ছে। মুম্বইয়ের কাছে ১-৫ হারের পর, জামশেদপুরের কাছে ১-২ হারল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কঠিন হয়ে উঠছে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়।