অস্ট্রেলিয়া- ৩৩৮ ও ৩১২/৬
ভারত- ২৪৪ ও ৩৩৪/৫
নিজস্ব প্রতিবেদন- Team India-র ড্রেসিরুম অজিদের চোখরাঙানি প্রভাব ফেলেনি। তবে চিন্তা বাড়িয়েছিল চোট। একের পর এক তারকা চোটে আক্রান্ত। শামি, উমেশ, রাহুল ছিটকে যাওয়ার পর এমনিতেই চাপ বেড়েছিল। সেই জায়গা থেকে নতুন করে ভাবতে বসেছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু সমস্যা একবার আসতে শুরু করে ঝাঁক বেঁধে আসে যেন! Sydney -তে শর্ট বল সামলাতে গিয়ে চোট পেয়ে বসলেন ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাদেজা। পন্থের কনুইয়ে ব্যথা এখনও রয়েছে। তবে ফ্র্যাকচার নেই। জাদেজার আঙুলের চোটে ফ্র্যাকচার হয়েছে। সমস্যার শেষ এখানেই হতে পারত। কিন্ত হল না। চতুর্থ দিনে হ্যামস্ট্রিং-এ হালকা চোট পেয়েছিলেন হনুমা বিহারী। সেই চোট পঞ্চম দিনের সকালে বড় হয়ে দেখা দিল। তবে বিহারী তাই নিয়েই লড়াই চালালেন।
দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আগে। তার পর তো বিদেশের মাঠ, সম্মানরক্ষার লড়াই, অজিদের জবাব দেওয়ার তাগিদ, এসব প্রসঙ্গ আসে। দেশ ও দলের প্রতি সেই দায়বদ্ধতা থেকেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টা ব্যাটিং করলেন বিহারী। ১৬১ বল খেলে ২৩ রান করলেন। এমন ইনিংসকে সেঞ্চুরির থেকেও এগিয়ে রাখছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। বিহারীর এই ইনিংস পাঁচিল না তুললে অজিদের আক্রমণের ঢেউ ভারতীয় দূর্গ ভাসিয়ে নিয়ে যেত। বিহারীর সঙ্গে আরেক লড়াকুর নামও বলতে হবে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১২৮ বল খেলে ৩৯। সুরক্ষার পাঁচিল আরও শক্ত করে দিয়েছিলেন তিনিও। আর অশ্বিনও ছিলেন চোটে জর্জরিত। কোমরের ব্যথায় কাবু করলেও তাঁকে ভাঙতে পারেনি। তাই যুদ্ধ জিতেই মাঠ ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন- Aus vs Ind: সিডনিতে আগ্রাসী ব্যাটিং,সচিন-লক্ষ্মণদের মন জিতে নিলেন Pant
Sydney Test ড্র। তবে এই ড্র ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে হয়তো ঐতিহাসিক আখ্যা পাবে। পন্থের দুরন্ত ৯৭, পুজারার দরকারের সময় ৭৭ রানের দারুণ ইনিংস, বিহারী-অশ্বিনের দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। সবই লেখা থাকবে সোনার হরফে। সঙ্গে এটাও লেখা থাকবে, বর্ণবিদ্বেষের আঁতুরঘরে অজিদের দর্পচূর্ণ করেছিল Team India. পঞ্চম দিনে বিহারী, অশ্বিনদের এই লড়াইয়ের কথা লেখা থাকবে কোনও এক অধ্যায়ে। তবে অজিরা হয়তো সেই ইতিহাসের পাতা আর খুলতে চাইবে না।