জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) পার্টনার জর্জিনা রডরিগেজ (Georgina Rodriguez) নেটফ্লিক্স শো-তে এক জায়গায় বলেছেন,'আমি যখন প্রথমবার ক্রিশ্চিয়ানোর বাড়িতে এসেছিলাম, সত্যি বলতে, আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম। আমি জল খাব বলে কিচেনে ঢুকেছিলাম, কিন্তু আমার কোনও ধারণাই ছিল না কোথায় গিয়ে জল পাব! এরকমও হয়েছে যে, লিভিং রুমে আসতে আমার আধ ঘণ্টাও লেগে গিয়েছে। আমি ফেরার রাস্তাটাই জানতাম না। এতটাই বড় বাড়ি ছিল ওর। আমার মনে হয়, দেড় বছর ওখানে থাকার পর আমি সবটা জানতে পেরেছিলাম যে, কোথায় ঠিক কী আছে!' জর্জিনা এই কথাগুলি বলেছেন রোনাল্ডোর মাদ্রিদের ম্যানসনে বসে। এই মুহূর্তে রোনাল্ডোর ঠিকানা এশিয়া। ইউরোপে ফেরার আপাতত তাঁর কোন পরিকল্পনা নেই। আল নাসেরের (Al-Nassr) জার্সি গায়ে চাপিয়ে, সৌদি আরবের জীবন তিনি ও তাঁর পরিবার মানিয়ে নিয়েছে। রোনাল্ডোর আর মাদ্রিদের এই ম্যানসনের কোনও প্রয়োজন নেই। তাই তিনি ঠিক করেছেন যে, এবার ভাড়া দেবেন। রাজপ্রাসাদে থাকতে দেওয়ার জন্য রোনাল্ডো এখন ভাড়াটে খুঁজছেন। পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী ফুটবলার সুপারফ্যানদের বিরাট সুযোগ করে দিলেন।
এবার আসা যাক রোনাল্ডোর ম্যানসনের প্রসঙ্গে। কোথায় এই ঠিকানা, কী কী সুযোগ সুবিধা রয়েছে বাড়িতে? স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের সবচেয়ে এক্সক্লুসিভ রেসিডেন্সিয়াল এস্টেট হল লা ফিন্সা। ধনকুবেররাই থাকতে পারেন এখানে। কারণ এখানকার বাড়িতে থাকা সাধারণের স্বপ্নেরও বাইরে। পর্তুগালের ক্লাব স্পোর্টিং সিপি-তে রোনাল্ডো তাঁর সিনিয়র কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। সালটা ২০০২-০৩। মাত্র একটা মরসুম ওখানে কাটিয়েই তিনি এই বিশ্বকে বার্তা দিয়েছিলেন যে, পেলে-মারাদোনাদের লিগে ঢোকার মতো কেউ চলে এসেছে। ২০০৩-০৯ পর্যন্ত ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে খেলে রোনাল্ডো হয়ে উঠলেন ফুটবল নক্ষত্র। এরপর ২০০৯-১৮ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদে খেলে তিনি হয়ে যান ফুটবল গ্রহের সর্বকালের অন্যতম সেরা। আর ম্যান ইউ থেকে রিয়ালে এসেই রোনাল্ডো কিনে ফেলেছিলেন লা ফিন্সার এই ম্যানসন। প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ইউরোতে এই রাজপ্রাসাদ কেনেন তিনি।
আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: জিনেদিন জিদান না জোস মোরিনহো, আল নাসেরের কোচ হিসেবে রোনাল্ডোর পছন্দ কে?
বিখ্যাত স্থপতি জোয়াকিন টোরেসকে মেগা ম্য়ানসন গড়ে তোলার বরাত দিয়েছিলেন রোনাল্ডো। কনক্রিটের দেওয়াল ও কাঠের প্য়ানেলের কাজে যা হয়ে যায় বাঙ্কার। বাড়ির দরজার হাতলগুলিতে রোনাল্ডোর মোনোগ্রাম খোদাই করা রয়েছে। ৪৩ হাজার স্কোরফুটের ম্যানসনে রয়েছে সাতটি বেডরুম, ন'টি বাথরুম। ইনডোর-আউটডোর মিলিয়ে জোড়া সুইমিং পুল। আছে আউটডোর জাকুজি, ঢাকা ছাদ। জিমনেসিয়াম নয়, ফিটনেস সেন্টারই তিনি গড়েছেন এখানে। যেহেতু রোনাল্ডোর গাড়ির শখ এবং তিনি সুযোগ পেলেই তাবড় ব্র্যান্ডের মহামূল্যবান সব গাড়ি কিনে ফেলেন, সেহেতু এই বাড়ির গ্যারেজও বিরাট বড়। এখানেই পার্ক করা থাকত রোনাল্ডোর রোলস-রয়েস থেকে ফেরারি, ল্যামবরগিনির মতো সব গাড়ি। এই ম্যানসনে রোনাল্ডো রেখেছেন বিরাট ফুটবল খেলার মাঠ। যেখানে প্রায়ই তিনি খেলতেন। এত কিছু জানার পর যদি আপনার রোনাল্ডোর মাদ্রিদের বাড়িতে থাকার ইচ্ছা হয়, তাহলে বলে দেওয়া ভালো যে, এই বাড়িতে থাকার জন্য বাড়িওয়ালা চাইছেন মাসে ন'লক্ষ টাকার কিছু বেশি টাকা। এবার ভেবে দেখুন আপনি।