ির বালাজি মন্দির বা দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য মন্দিরগুলিতে রাশি-রাশি ধনসম্পত্তি আছে। তবে, শোনা যাচ্ছে, পুরীমন্দিরের রত্নভাণ্ডার নাকি সবকিছ...
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের ভিতরে কী রয়েছে, তা নিয়ে বহু দিন ধরেই চলেছে জল্পনা। বহু দিন এর দরজা খোলেনি। তবে আগামী কাল, রবিবারই খোলা হবে পুরীর সেই বহু ঈপ্সিত রত্নভাণ্ডার। চাবি না পাওয়া গেলে তালা ভাঙা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৮ সালে জগন্নাথমন্দিরের রত্নভাণ্ডার খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি ও এএসআই-র স্থাপত্যবিদরা মন্দিরের ওই কুঠুরিতে ঢুকেছিলেন। কিন্তু চাবি না থাকায়, দরজা খোলা যায়নি। দরজার গোড়া থেকেই ফিরে আসেন তাঁরা। ফলে, রত্নভাণ্ডারের ভিতরে কী রয়েছে, সে-রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি।
শোনা যায়, তিরুপতির বালাজি মন্দির বা দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য মন্দিরগুলিতে নাকি রাশি-রাশি ধনসম্পত্তি আছে। তবে, এখন শোনা যাচ্ছে, পুরীমন্দিরের রত্নভাণ্ডার নাকি সবকিছুকেই ছাপিয়ে যাবে! তিরুপতির বালাজি মন্দিরও হার মানবে জগন্নাথদেবের সম্পত্তির কাছে।
কিন্তু জানা সত্ত্বেও, কেন সেই রত্নভাণ্ডার খোলা যায়নি? কারণ, বলা হয়, জগন্নাথদেবের সম্পত্তির পাহারায় রয়েছেন স্বয়ং নাগরাজ। তিনি ছাড়াও সেই ভাণ্ডারে বিষধর সাপ কিলবিল করে! মণিমুক্তোয় হাত ছোঁয়ালেই ছোবল!
১৯৭৮ সালের মে-জুলাই নাগাদ শেষবার রত্নভান্ডারের খতিয়ান নেওয়া হয়েছিল। মোটামুটি যা জানা গিয়েছিল, তা হল, জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডারে মোট ৪৫৪টি সোনার গয়না, যার ওজন আনুমানিক ১২৮৩৮ ভরি। ২৯৩টি রুপোর গয়না রয়েছে, যার ওজন ২২১৫৩ ভরি।
এসব ছাড়াও রয়েছে ৭৯টি সোনার গয়না, ৩৯টি রুপোর গয়না। রয়েছে নিত্যব্যবহার্য আরও কিছু সোনাদানা। ব্রহ্মজ্যোতি হিরে, বলরামের নীলা, সুভদ্রার মুক্তো।
এই সব সোনাদানার মধ্যে ১৯৮২ ও ১৯৮৫ সালে দুবার গর্ভগৃহের দরজা এবং বলভদ্রের মুকুট সারাতে এই সম্পত্তির কিছুটা ব্যবহার করা হয়েছিল। এবার, আগামী কাল রত্নভাণ্ডারের দরজা খোলার দিকে সারা দেশ তাকিয়ে!